যে সুরা পড়লে জান্নাতে যাওয়ার আলো লাভ হবে
সাপ্তাহিক শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার। শুক্রবার বা জুমার দিনের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। বিভিন্ন হাদিসে জুমার দিনের মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। জুমার দিনের আমলে বিপুল সওয়াবের কথাও উল্লেখ হয়েছে।
পাঠককে আজ আমরা এমন একটা সুরা ফজিলত সম্পর্কে জানাবো- যেটার সওয়াব ও ফজিলত অনেক বেশি। বিশেষত জুমার দিনে এ সুরা তেলাওয়াতের অনেক সওয়াব ও ফজিলত রয়েছে। সেটি হলো- সুরা কাহাফ।
বিজ্ঞাপন
এই সুরা পাঠের সওয়াব ও উপকারিতার কথা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনায় এসেছে, সুরা কাহাফ পাঠকারীর জন্য জান্নাতে যাওয়ার নূর (আলো) হবে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ যেমনভাবে নাজিল হয়েছে সেভাবে পড়বে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নূর (আলো) হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ২২২১)
আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে হেফাজত থাকবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮০৯; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২৩)
আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং যে শেষ দশ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১০৭২২)
বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঘিরে ফেলে। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার খুব কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। সকালে ওই ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা জানালেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫০১১, ৩৬১৪; মুসলিম, হাদিস : ৭৯৫)
নাওয়াস ইবনে সাময়ান (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পাবে, সে যেন সুরা কাহাফের শুরুর অংশ পড়ে। ( মুসলিম, হাদিস : ২৯৩৭; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২১; তিরমিজি, হাদিস : ২২৪১)