যে দোয়া পড়লে জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে যায়
অজু পবিত্রতার মাধ্যম। নামাজ আদায়েরও প্রধান মাধ্যম। কারণ, অজু ছাড়া নামাজ হয় না। নামাজের জন্য অজু ফরজ। হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি বলা হয়েছে। আর নামাজকে বলা হয়েছে জান্নাতের চাবি।
দৈনিক কতবার অজু করা হয়! নামাজের সময়, কোরআন তেলাওয়াতের আগে কিংবা অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা লাভ করতে। কিন্তু আমরা অনেকে হয়তো জানি না যে, এই অজুর পর একটি দোয়া পড়লে আল্লাহ তাআলা বিপুল সওয়াব দেবেন। এমনকি জান্নাতের সব দরজা উন্মুক্ত করে দেন।
বিজ্ঞাপন
উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ যখন অজু করে, আর সে পূর্ণরূপে সুন্দর করে অজু করে; এরপর সে নিম্নের দুআটি পাঠ করে— তাহলে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে, প্রবেশ করতে পারবে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৩৪৫)
আরবি :
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ : আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো অংশীদার নেই। এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসুল।
অজুর শেষে যে দোয়ায় জান্নাতের আট দরজা খুলে যায়
অপর একটি হাদিসে আরেকটি দোয়া বর্ণিত আছে। সেই দোয়াটি পড়লেও জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করার পর উল্লিখিত দোয়া পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে নিজ ইচ্ছামতো যেকোনো দরজা দিয়েই তাতে যেতে পারবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৫৫)
আরবি :
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَوَّابِينَ ، واجْعَلْني مِنَ المُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণ : আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু, আল্লাহুম্মাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।
অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো অংশীদার নেই। এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসুল।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।’