শিরক ও রিয়া থেকে বাঁচার দোয়া
মাকিল ইবনে ইয়াসার রা. বলেন, আমি আবু বকর সিদ্দিক রা.-এর সাথে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গেলাম। তিনি বললেন—
হে আবু বকর! নিশ্চয় শিরক পিপীলিকার পদচারণা থেকেও সন্তর্পণে তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। আবু বকর রা. বলেন, কারো আল্লাহর সাথে অপর কিছুকে ইলাহরূপে গণ্য করা ছাড়াও কি শিরক আছে?
বিজ্ঞাপন
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়েও সূক্ষ্ম। আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিবো না, তুমি যা বললে শিরকের অল্প ও বেশী সবই দূর হয়ে যাবে? তিনি বলেন, তুমি এই দোয়াটি পড়ো—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওআনা আ’লাম ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ’লাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে কাউকে শরিক করা থেকে । আর আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ সকল বিষয়ে, যা আমি জানি না। (আল-আদাবুল মুফরাদ,হাদিস : ৭২১)
আরও পড়ুন
শিরক
কোনো জিনিসকে আল্লাহর সত্তা, গুণ অথবা কোনো কর্মের সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করাকে শিরক বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায়- আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করাকে শিরক বলা হয়। আর মুশরিক অর্থ- যে আল্লাহর ক্ষমতায় অন্য কারো অংশীদারিত্ব সাব্যস্ত করল।
আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে অংশীদার সাব্যস্ত করার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন- ‘যখন লোকমান উপদেশস্বরূপ তার ছেলেকে বলল- হে ছেলে! আল্লাহর সাথে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরিক করা মহা অন্যায়।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৩)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা ৭টি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে বেঁচে থাকো। তারা জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সেগুলো কী?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘আল্লাহর সঙ্গে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করা।’ জাদু করা, কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করা, আল্লাহ যা হারাম করেছেন, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের মাল খাওয়া, জিহাদ থেকে পলায়ন করা, সতি নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া।’ (বুখারি)