প্রতীকী ছবি

বাসা-বাড়ির ড্রইং রুম, বেডরুম সাজানোর বিভিন্ন ধরনের ওয়ালমেট ব্যবহার করা হয়। অনেকে ঘরের দেয়াল আয়াতুল কুরসি, কাবাঘরের ছবিতে সাজিয়ে রাখেন।

এছাড়াও  সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস ইত্যাদির ক্যালিগ্রাফি ও সুন্দর ওয়ালমেট রাখেন কেউ কেউ দেয়ালে। 

তবে এসব রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই এর আদব বজায় রাখতে হবে।পায়ের দিকে ঝুলানো যাবে না এবং যেদিকে কুরআনুল কারীমের আয়াত সম্বলিত ওয়ালমেট থাকবে সেদিকে পা ছড়িয়ে বসাও উচিত হবে না।

একইভাবে ঘরের দেয়ালে কাবাঘরের ছবি ঝুলানোও নিষেধ নয়। তবে সাথে স্পষ্ট আকৃতির মানুষের ছবি যেন না থাকে সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।

আলেমদের মতে, ঘরের দেয়ালে কোরআনের ওয়ালমেট ঝুলিয়ে রাখার আলাদা কোনো ফজিলত নেই। ঘরে রাখা কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করলেই কেবল ঘরে কোরআন রাখা স্বার্থক হবে। কোরআন তেলাওয়াত না করে কোথাও কোরআনের আয়াত লিখে তা ঝুলিয়ে রাখা যাবে। এক্ষেত্রে কোরআনের আয়াতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

আয়াতুল কুরসির ফজিলত

পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সূরার ৬৬৬৬টি আয়াতের সবই ফজিলতপূর্ণ। প্রত্যেকটি আয়াতের রয়েছে আলাদা আলাদা তাৎপর্য ও রহস্য।

তার পরও সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াতটিকে কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলা হয়। আয়াতটি সমাজে আয়াতুল কুরসি নামে বেশি পরিচিত।
 
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাঁধা থাকে না। (নাসাই শরিফ)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, সেটি হলো আয়াতুল কুরসি। যে ঘরে এটি পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। (মুসতাদরাকে হাকিম)