অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব
অপ্রয়োজনীয় কথা, মিথ্যা কথা, পরনিন্দা, পরচর্চা, অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করা একান্ত কর্তব্য। আল কোরআন ও সুন্নাতে রাসূলে এ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। যারা সবসময় সত্য কথা বলেন তাদের প্রশংসা করতে গিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,
وَالصَّادِقِينَ وَالصَّادِقَاتِ
বিজ্ঞাপন
সত্যবাদী পুরুষ এবং সত্যবাদী মহিলাগণ ...। (সূরা আল আহযাব, আয়াত : ৩৫)
আরেক জায়গায় বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ সম্পর্কে সতর্ক হও এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো। (সূরা আত তাওবা, আয়াত : ১১৯)
সূরা ইসরা বা বানী ইসরাঈলে বলা হয়েছে,
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ
‘যে সম্পর্কে তোমার ধারণা নেই, তার পেছনে ছুটো না। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৩৬)
সূরা আয যুমারে বলা হয়েছে,
فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَذَبَ عَلَى اللَّهِ وَكَذَّبَ بِالصِّدْقِ إِذْ جَاءَهُ ۚ أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِّلْكَافِرِينَ * وَالَّذِي جَاءَ بِالصِّدْقِ وَصَدَّقَ بِهِ ۙ أُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
তার চেয়ে বড়ো যালিম আর কে আছে, যে আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং সত্য আসার পর তা মিথ্যা মনে করে? অবিশ্বাসীদের আবাসস্থল জাহান্নাম নয় কি? যারা সত্য নিয়ে এসেছে এবং সত্যকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে, তারাই মূলত মুত্তাকী। ( সূরা আয যুমার, আয়াত : ৩২, ৩৩)
আরও পড়ুন
সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে ইবনু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى البِرِّ، وَإِنَّ البِرَّ يَهْدِي إِلَى الجَنَّةِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يَكُونَ صِدِّيقًا. وَإِنَّ الكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الفُجُورِ، وَإِنَّ الفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا
সত্য নেকীর দিকে পথ দেখায়, নেকী জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। কোনো মানুষ সত্যের অনুশীলন করলে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে তার নাম লিখা হয়। আর মিথ্যা পাপের পথে পরিচালিত করে, পাপ জাহান্নামের পথ দেখায়। কোনো ব্যক্তি মিথ্যা বলতে থাকলে আল্লাহর কাছে তার নাম মিথ্যাবাদী হিসেবেই লিখিত হয়। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৩৩৯)
এক হাদিসে হজরত সাহল ইবনু সাদ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন,
‘কেউ যদি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী এবং দুই রানের মধ্যবর্তী জিনিসের গ্যারান্টি দিতে পারে আমি তাকে জান্নাতের গ্যারান্টি দিতে পারি। (সহিহ মুসলিম)
শুরাইহ আল কুযায়ী রা. থেকে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ
‘যে আল্লাহ এবং পরকালের বিশ্বাস করে তার উচিত ভালো কথা বলা কিংবা চুপ থাকা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৩৬৪)।