প্রতীকী ছবি

সন্তান মা-বাবার জন্য আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। সন্তানকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। বর্ণিত হয়েছে,  সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য। ‘স্থায়ী সৎকর্ম’ তোমার রবের কাছে পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং আশান্বিত হওয়ার জন্যও সর্বোৎকৃষ্ট। (সূরা কাহফ, আয়াত : ৪৬)

আয়াতে বলা হয়েছে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার পরকালে কল্যাণ বয়ে আনবে। অন্যথায় পরকালে এসব কোনো কাজে আসবে না। পরকালে গুরুত্বপূর্ণ হলো সৎকর্ম। বিশেষত, স্থায়ী সৎকর্মগুলোর গুরুত্ব আল্লাহর কাছে অনেক বেশি।

আলোচ্য আয়াতে স্থায়ী সৎকর্ম বোঝানোর জন্য ‘আল বাকিয়াতুল সালিহাত’ শব্দদ্বয় আনা হয়। এটি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। কিছু সৎকর্ম মৃত্যুর পরও বাকি থাকে; যেমন—সুশিক্ষা প্রদত্ত সৎ সন্তান, জ্ঞান বিতরণ ও জনকল্যাণমূলক কাজ। এসব কাজের সুফল পাওয়া যায় অনন্তকাল। মৃত্যুর পরও এর প্রতিফল চলমান থাকে।

এজন্য কেউ সন্তান লাভ করলে তাকে সুশিক্ষার মাধ্যমে সঠিক উপায়ে মানুষ করতে হবে। সন্তান জন্মগ্রহণ করলে মা-বাবার বেশ কিছু দায়িত্ব আছে তার কানে আজান দিতে হয়। প্রথম সপ্তাহে আকিকা করতে হয়। ইসলামী বিধানমতে আকিকা করা মুস্তাহাব।

সন্তান জন্মের আনন্দে আকিকার দিন পশু জবাই করে খাওয়া একটি ধর্মীয় রীতি এবং মুসলিম সংস্কৃতির অংশ। এই দিন সন্তানের নাম রাখা হয়। এই নামেই সন্তান পরিচিতি লাভ করে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জন্মগ্রহণ করেন, দাদা আব্দুল মুত্তালিব তার আকিকা করেন এবং তার নাম রাখেন মুহাম্মদ।

আকিকার দিন রাখা নাম কোনো কারণে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। নাম পরিবর্তন করার পর আবার নতুন করে আকিকা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১২/১৬৩)