নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। এছাড়াও তা ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বহন করে। জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য ইকামত দেওয়া সুন্নত।  ফরজ নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান ও ইকামতের গুরুত্ব অপরিসীম।

আতা (রহ.) বলেন, আমি আলী ইবনে হুসাইন (রা.)-এর সঙ্গে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.)-এর দরবারে প্রবেশ করলাম। তখন নামাজের সময় হয়ে গেলে, তিনি আজান ইকামত দিয়ে নামাজ আদায় করলেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস : ২২৮৪) 

আলী (রা.) বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি নির্জন মরুভূমির দিকে যাত্রা করে এবং পথিমধ্যে নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে সে চাইলে আজান-ইকামত দিয়ে নামাজ পড়তে পারবে। আর চাইলে সে শুধুমাত্র ইকামত দিয়েও নামাজ পড়তে পারবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস : ২২৮৪)

কখনো কোনো নামাজ নষ্ট হলে পুনরায় তাৎক্ষণিক শুরু করলে ইকামত না দিয়েই নামাজ শুরু করা যাবে। কেননা ইকামত দেওয়ার পর কোনো নামাজ ফাসেদ হয়ে গেলে বিলম্ব না করে এবং অন্য কাজে লিপ্ত না হয়ে যদি সেই নামাজ পুনরায় পড়া হয় তাহলে দ্বিতীয়বার ইকামত দিতে হবে না। আগের ইকামত দিয়েই নামাজ পড়া যাবে।

(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫৫; আলবাহরুর রায়েক ১/২৬২)

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া পড়া

দোয়া কবুলের অন্যতম সময় আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়। বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে এ সময় আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করেন।


হাদিসে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে আজানের সময় মুয়াজ্জিন যা বলে তাই বলতে হবে (তবে হাইয়া আলা-র সময় লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ- বলতে হয়)।

আজানের উত্তর

হজরত ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আন্হু বলেন, এক ব্যক্তি বললো- হে আল্লাহর রাসূল! মুয়াজ্জিনরা আমাদের থেকে বেশি মর্যাদা অর্জন করছেন। তখন তিনি বলেন,  মুয়াজ্জিনরা যা বলে তুমিও তাই বলো (আজানের জবাব দাও)। যখন শেষ করবে তখন আল্লাহ কাছে চাও, তুমি যা চাইবে, তোমাকে তা দেওয়া হবে। (আবু দাউদ, ১/৭৮ তারগীব, ১/১৭৭, ১৮১)

আজানের জবাব দেওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পড়তে হয়। এরপর হাদিসে বর্ণিত আজানের শেষের দোয়াটি পড়া এবং নিজের দুনিয়া ও আখেরাতের প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যেতে পারে।