প্রতীকী ছবি

কোনো কিছু স্মরণ করাকে জিকির বলা হয়। জিকরুল্লাহ বলতে আল্লাহকে স্মরণ করা, আল্লাহর কথা বর্ণনা করা, আল্লাহকে মনে রাখা বোঝায়। 

পবিত্র কোরআনে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করতে বলা হয়েছে। অন্য কোনো ইবাদত সম্পর্কে এমন কথা বলা হয়নি। আল্লাহর জিকির মানুষকে সব ধরনের গুনাহ থেকে রক্ষা করে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর।(সূরা আনফাল : ৪৫)

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর এবং সকাল সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা কর। এখানে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা বলতে জিকিরকে উদ্দেশ করা হয়েছে। -(সূরা আহজাব : ৪১-৪২)।

আল্লাহ তায়ালার স্মরণ থেকে বিমুখ হওয়া উচিত নয়। কারণ, পবিত্র কোরআনে মুনাফিকদের বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন তারা শিথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য দাঁড়ায় এবং তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।-(সূরা নিসা : ১৪২) এতএব, জিকিরে যত্নশীল হওয়া একান্ত কর্তব্য।

হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে প্রবেশ করার পর জান্নাতবাসীরা দুনিয়ার কোনো জিনিসের জন্য আফসোস করবে না, শুধু ওই সময়ের জন্য আফসোস করবে, যা দুনিয়াতে আল্লাহর জিকির ছাড়া অতিবাহিত করেছে। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৫১২)

জিকির যেকোনোভাবে যেকোনো অবস্থায় করা যাবে।  জিকির করার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বা উপায় নেই। বরং জিকির সর্বাবস্থায় করা যায়। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন.

فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ

‘অতঃপর যখন তোমরা নামাজ পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহর জিকির করবে।’ (সূরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার জিকির করতেন। (শারহু মাআনিল আসার ১/৭০) তাই বসে শুয়ে- হেঁটেও আল্লাহ তায়ালার জিকির করা যাবে।