মুসলমানেরা মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ বিভিন্ন ইবাদতে মগ্ন থাকেন। মসজিদকে মুমিনরা অত্যন্ত ভালোবাসেন, মসজিদের সঙ্গে মুমিনের যেন আত্মার সম্পর্ক। হাদিসে মসজিদকে পৃথিবীর সবথেকে উত্তম জায়গা এবং বাজারকে নিকৃষ্ট জায়গা বলা হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সা.বলেছেন, ‘যার অন্তর মসজিদের সঙ্গে থাকে সে আরশের ছায়ায় স্থান পাবে।’ মসজিদে প্রবেশের জন্য যেমন তাকিদ দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনি মসজিদের আদব রক্ষা করার জন্যও হাদিসে তাকিদ এসেছে। 

মসজিদে প্রবেশের সময় বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। মসজিদে ধীর-স্থিরতার সঙ্গে গমন করা উচিত। রাকাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কায় তাড়াহুড়া করে দৌড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। রাসূল সা. ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজে অবশ্যই ধীর-স্থিরতার সঙ্গে আসবে। যতটুকু পাবে, আদায় করবে। আর যতটুকু ছুটে যাবে, পূর্ণ করবে।’ (বুখারি, হাদিস :৬০৯) 

অজুসহ পাকপবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা সুন্নত। নাপাক অবস্থায় অথবা পেঁয়াজ-রসুনের মতো দুর্গন্ধযুক্ত কোনো খাবার খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করা উচিত নয়।

হাদসে আকবর বা এমন অপবিত্রতা যার কারণে গোসল ফরজ হয় এমন অপবিত্রতা নিয়ে এবং তা থেকে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন না করে মসজিদে প্রবেশ করা এবং আজান দেওয়া উভয়টি মাকরূহ হবে। আর যদি কেউ গোসল ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করে গোসল ছাড়াই আজান দিয়ে দেয় তাহলে পুনরায় আজান দিতে হবে।

আর কেউ যদি এমন অপবিত্র হয় যার কারণে গোসল ফরজ হয় না অর্থাৎ হাদসে আসগর হয় তাহলে তাহলে মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে এবং আজান দিতে পারবে। তবে এমন অপবিত্রতার ক্ষেত্রেও অজু করে মসজিদে প্রবেশ করা ও অজু করে আজান দেওয়া উত্তম। যদিও ছাড়া আজান দিলেও আজান হয়ে যাবে তবে অজু করে আজান দেওয়া তার জন্য উত্তম হবে।

(ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৫৪)