রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। তিনি তাদেরকে হেদায়েতের বাণী শুনিয়েছেন। ভালো-মন্দের শিক্ষা দিয়েছেন। সব সময় সরল সঠিক পথ অবলম্বন করতে বলেছেন। 

হজরত আবু  যার জুনদুব ইবন জুনাদাহ ও আবু আব্দুর রহমান মুআয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, তারা বলেন—

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তুমি যেখানে যে অবস্থায় থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক মন্দ কাজের পর ভাল কাজ কর, যা তাকে মুছে দেবে; আর মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর। (তিরমিজি, হাদিস ১৯৮৭) 

রাসূল সা. উম্মতের সব শ্রেণীর মানুষকে উপদেশ দিয়েছেন। বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) কে তিনি বিশেষ কিছু উপদেশ দিয়েছেন, যা একজন মানুষের স্বভাব-চরিত্র ও সমাজে তাকে মর্যাদার স্থান দিতে সহায়ক হবে। হাদিসটি তুলে ধরা হলো এখানে—

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এমন কে আছে যে আমার কাছ থেকে এ কথাগুলো গ্রহণ করবে এবং সে অনুযায়ী নিজেও আমল করবে অথবা এমন কাউকে শিক্ষা দেবে যে ঠিক তার মতো করে আমল করবে? 

আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আছি। এরপর তিনি আমার হাত ধরলেন এবং গুনে গুনে এ পাঁচটি কথা বললেন—

১. তুমি হারাম সমূহ থেকে বিরত থাকলে লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় আবিদ (ইবাদতকারী) বলে গণ্য হবে।

২. তোমার ভাগ্যে আল্লাহ তায়ালা যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তাতে খুশি থাকলে লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা স্বনির্ভর বলে গণ্য হবে।

৩. প্রতিবেশীর সাথে ভদ্র আচরণ করলে প্রকৃত মুমিন হতে পারবে।

৪. যা নিজের জন্য পছন্দ কর তা-ই অন্যের জন্যও পছন্দ করতে পারলে প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে। 

৫. অধিক হাসা থেকে বিরত থাকো। কারণ, অতিরিক্ত হাস্য-কৌতুক হৃদয়কে মৃত করে দেয়। (জামে' আত-তিরমিজি : ২৩০৫)