প্রতীকী ছবি

প্রত্যেক মুসলমান প্রতিদিন কিছু না কিছু আল্লাহ তায়ালার কাছে চেয়ে থাকেন। যারা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তাদের কারও দোয়া কবুল হয়, আবার কারও হয় না। আর দোয়া কবুল না হওয়ার অবশ্যই কোন না কোনো কারণ রয়েছে।

অনেক মানুষ আছেন, আল্লাহর কাছে বারবার দোয়া করার পরও প্রত্যাশিত বিষয় না পেলে— দোয়া করা ছেড়ে দেন। হতাশ হয়ে অধৈর্য হয়ে পড়েন। তাদের জানা থাকা দরকার যে, দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে তিনটি বিষয়ের কোনো একটি দিয়ে থাকেন।

এক. হয়তো প্রত্যাশিত বিষয়টি দিয়ে দেন। দুই. দোয়ার বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর থেকে সমপর্যায়ের বিপদ দূর করেন। তিন. দোয়ার সওয়াব আল্লাহ তায়ালা আখেরাতে তাকে দান করবেন। তাই দোয়ার পর প্রত্যাশার বিপরীত কোনো কিছু ঘটলেও ধৈর্য ধরা— অধৈর্য না হওয়া।

আনাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান, তুমি যত দিন পর্যন্ত আমার কাছে দোয়া করতে থাকবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আমি তত দিন তোমার গুনাহ মাফ করতে থাকব, তুমি যা-ই করে থাক, আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না। হে আদম সন্তান, তোমার গুনাহ যদি আকাশের উচ্চতা পর্যন্তও পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও তবু আমি তোমাকে ক্ষমা করব, আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না। হে আদম সন্তান, তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করে থাকো, তাহলে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪০)

এজন্য আল্লাহর কাছে মনোযোগের সঙ্গে দোয়া করা এবং প্রত্যাশা রাখা জরুরি। অমনোযোগীভাবে দোয়া করা যাবে না। কারণ, অমনোযোগী হয়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন না। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সা. ইরশাদ করেন,

ادْعُوا ‌اللَّهَ ‌وَأَنْتُمْ ‌مُوقِنُونَ ‌بِالإِجَابَةِ، وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ

‘তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া কর। তোমরা জেনে রাখ যে, আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৭৯)