শরীর এবং কাপড়ের পবিত্রতার বিষয়টি ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যেকোনও ইবাদত কবুলের জন্য পবিত্রতা জরুরি। পবিত্রতা ছাড়া কিছুই কবুল হবে না। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ’ (সহিহ মুসলিম: ২২৩)। অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘... আর পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৯)

মহানবী সা. বলেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর দীনের ভিত্তি স্থাপিত।’ (মাউসুআতু আতরাফিল হাদিস আন-নাবাবি, পৃষ্ঠা-২৯৪)। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘ইসলাম পরিচ্ছন্ন। সুতরাং তোমরা পরিচ্ছন্নতা অর্জন করো। নিশ্চয়ই জান্নাতে কেবল পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিই প্রবেশ করবে।’ (ফাইজুল কাদির: ৩০৬৫)

পোশাক-শরীর সবসময় পবিত্র রাখতে হবে। কোনো কারণে শুকনা পবিত্র কাপড়ে ভেজা অপবিত্র কাপড় লেগে  গেলে করণীয়—

শুকনা পবিত্র কাপড় বা হাত পেশাবে বা অপবিত্র ভিজা কাপড় বা অন্য কিছুতে যদি এ পরিমাণ লাগে যে, শুকনো বস্তু নিংড়ালে তা থেকে পানি ঝরে বা হাত ভিজে যায়। তাহলে অপবিত্র বস্তু বা কাপড় অপবিত্র হয়ে যাবে।শুধু স্পর্শ করার কারণে পবিত্র বস্তু অপবিত্র হবে না। (ফাতাওয়া দারুল উলূম, ১:১৩৫)

অপবিত্র কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতি

পবিত্র করণের দিক দিয়ে নাপাকি দুই প্রকার। যথা- (ক) দৃশ্যমান নাপাক। (খ) অদৃশ্যমান নাপাক।

(ক) কাপড়ে দৃশ্যমান নাপাক লাগলে, সেই নাপাকিকে দূর করে দিলেই— কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে নাপাকি দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই। যতবার ধৌত করলে— নাপাকি দূর হবে, ততবারই ধৌত করতে হবে। যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায়, তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

(খ) কাপড়ে  অদৃশ্যমান নাপাকি লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে— তিনবারই নিংড়াতে হবে। শেষবার একটু শক্তভাবে নিংড়াতে হবে, যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাইর না হয়। (ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া : ২/৫৭৪; জামিউল ফাতাওয়া : ৫/১৬৭)