হেদায়েত, তাকওয়া ও সংস্কার নিয়ে যা বললেন বায়তুল মোকাররমের খতিব
দেশে মুসলিম অমুসলিম সবাই ইনসাফের সাথে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। কিন্তু বৈষম্য দূর করা বা সংস্কার, সমতা বিধানের নামে নতুন বৈষম্য তৈরি করা, অথবা ইসলাম বিরোধী কোন নিয়ম-কানুন বা সভ্যতা সংস্কৃতি আমদানি করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জুমার বয়ানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে একটি সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার, সমতা বিধান এবং বৈষম্য দূরীকরণের আলোচনা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, সংস্কারের যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা কোরআন ও সুন্নাহতে দেওয়া হয়েছে তাকে পাশ কাটিয়ে পশ্চিমা সভ্যতা ও আদর্শের অনুসরণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
খতিব বলেন, আমেরিকা, রাশিয়া ব্রিটেন বা অন্য কোনো দেশের নীতি ও আদর্শ আমাদের উপকারে আসবে না। সব পরীক্ষা করা হয়েছে। পুনরায় আমদানি করার কোন সুযোগ নেই।
এ দিন আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনকে আল্লাহ তায়ালা মুত্তাকিদের জন্য হেদায়েত হিসেবে নাজিল করেছেন। যারা তাকওয়া অর্জন করবে তারা কোরআন থেকে হেদায়াত লাভ করতে পারবে।
আরও পড়ুন
মুত্তাকিদের গুণাগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, মুত্তাকিদের প্রথম গুণ হলো ঈমান আনা। বর্তমানে অনেকেই ঈমান এবং ইসলাম সম্পর্কে উদাসীন। অথচ ঈমান এবং ইসলাম ছাড়া পরিপূর্ণ মুত্তাকী হওয়া সম্ভব নয়। সব নবীই তাদের দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত, আল্লাহর ভয় ও তাওহীদের সাথে তাকওয়ার বিষয়ে আহ্বান করেছেন।
তিনি বলেন, কালিমার মাধ্যমে আমরা ঈমান আনলেও এর অর্থ, মর্ম ও ফলাফল চিন্তা করি না। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা কালিমাকে ফলদায়ক গাছের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একটি গাছ ফলদায়ক হওয়ার জন্য সঠিকভাবে বীজ রোপন করতে হয়, নিয়মিত পানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। পরিচর্যার মাধ্যমে গাছের ডালপালা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে। একইভাবে কালিমা অন্তরে ঈমানের বীজ রোপন করে। এই বীজকে ঈমানের অন্যান্য সব শাখায় পরিপূর্ণ করা এবং সুন্নাহ পালনের মাধ্যমে মজবুত করা সবার দায়িত্ব।