প্রতীকী ছবি

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সবার ওপর ফরজ। নিয়মিত নামাজ আদায় না করলে আল্লাহ তায়ালার কাছে এর হিসাব দিতে হবে। নামাজের হিসাব দিয়ে পার হতে পারলেই তবে অন্য আমলের হিসাব গ্রহণ করা হবে। 

আল্লাহর বিধান পালনে ইচ্ছুক এবং পরকালের শাস্তি থেকে মুক্তি লাভের ইচ্ছা রাখেন এমন যেকেউ প্রতিদিন নামাজ আদায় করেন। নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ মসজিদে জামাতে নামাজের সওয়াব বাড়িতে একাকী নামাজের তুলনায় উত্তম এবং এতে গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় জানাব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ গুনাহসমূহ মোচন করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন ? সাহাবায়ে কেরাম বললেন : জ্বি, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, তা হচ্ছে কষ্টের সময়ে যথাযথভাবে অজু করা, মসজিদের দিকে বেশি বেশি পদচারণ করা এবং এক সালাতের পর অন্য সালাতের  অপেক্ষায় থাকা। ‌এটাই হল  সীমান্ত প্রহরা। (তিরমিজি, হাদিস : ৪৮)

অন্য হাদিসে আব্দুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জামাতের সাথে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যায়, তার আসা এবং যাওয়ায় প্রতি পদক্ষেপে গুনাহ মিটে যায় এবং প্রতি পদক্ষেপে নেক আমল লেখা হয়। (আহমাদ, হাদিস : ৬৩১১)

মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মে নিজ এলাকা বা কাছের মসজিদে নামাজ পড়া উচিত এবং এটি উত্তম। এলাকার মসজিদ ছেড়ে দূরের মসজিদে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষভাবে যদি কাছের মসজিদ ছেড়ে দূরের মসজিদে যাওয়ার মাধ্যমে আগের মসজিদ পরিত্যক্ত হওয়ার আশঙ্কা হয়, কিংবা ওই মসজিদের ইমামের মনে ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা হয়, তাহলে দূরবর্তী মসজিদে যাওয়া বৈধ নয়। কারণ আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন—

‘মানুষ যেন তার পার্শ্ববর্তী মসজিদে নামাজ পড়ে এবং এ মসজিদ—সে মসজিদ করে না বেড়ায়।’ (তাবরানি, সিলসিলাহ সহিহাহ, আলবানি, হাদিস : ২২০০)

তবে কাছের মসজিদের ইমামের যদি কিরাত ভালো না হয়, তাহলে সুন্দর কিরাত বা সুমধুর আওয়াজের জন্য দূরের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ায় কোনো দোষ নেই। অবশ্য এতে উদ্দেশ্য হবে, সুমধুর কিরাতে তার নামাজে বিনয়-নম্রতা তৈরি করা।