যেসব কাজ অন্তরের পবিত্রতা নষ্ট করে দেয়
মানুষের সুস্থ-স্বাভাবিক চিন্তার জন্য অন্তর পরিশুদ্ধ ও কলুষ মুক্ত থাকা জরুরি। অন্তরই মানুষকে পরিচালিত করে ভালো অথবা মন্দের দিকে। অন্তর ভালো থাকলে মানুষ ভালো কাজের দিকে ধাবিত হয়। অন্তর কোনো কারণে কলুষিত হলে তা মানুষকে মন্দ কাজের দিকে ধাবিত করে। মানুষের চালিকা শক্তি অন্তর সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে—
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘জেনে রাখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা (মুদগা) আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো কলব।’ (বুখারি, হাদিস :৩৯-৪০)
বিজ্ঞাপন
ভালোভাবে আমলের জন্য ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের জন্য অন্তর পরিশুদ্ধ রাখা জরুরি। যেসব কারণে অন্তর কলুষিত হয় তা জানলে এসব পরিহার করা সহজ হবে একজন মানুষের জন্য। অন্তর কলুষিত করে এমন কিছু কারণ তুলে ধরা হলো এখানে—
>> শিরক করা।
>> সন্দেহ পোষণ : আল্লাহর অস্তিত্ব ও পরকাল আছে কি না এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা বা তা অবিশ্বাস করা । যেমন- কাফিরেরা পরকালে বিশ্বাস করে না। আবার কিছু মুসলিমের মনে পরকাল নিয়ে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুন
>> মুনাফিকী চরিত্র : অন্তরের বিশ্বাসের সাথে বাস্তব কাজের গরমিল। অর্থাৎ বাইরে যা সে আমল করে প্রকৃতপক্ষে অন্তরে তা বিশ্বাস করে না।
>> রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত: মানুষকে দেখানো বা সমাজে সুনাম-সুখ্যাতি অর্জনের জন্য ভালো কাজ করা।
>> গোঁড়ামি বশত সত্য বর্জন করা : সত্যকে সত্য বলে জানা সত্ত্বেও গোঁড়ামির কারণে তা গ্রহণ না করা।
>> হিংসা করা : অন্যের ভালো দেখতে না পারা, এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়া এবং তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা।
>> অহংকার করা : কথায় ও কাজে-কর্মে নিজেকে বড় ও অন্যকে ছোট মনে করা।
>> বিদআতী ও কুফরী আকীদা-বিশ্বাস পোষণ করা : এ কাজগুলোর সবকটাই অন্তরের সাথে জড়িত। এতেই অন্তর কলুষিত হয় ।