বিপদ-আপদ, পেরেশানী মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। আল্লাহ তায়ালা অফুরন্ত সুখের পাশাপাশি মানুষকে কখনো কখনো দুঃশ্চিন্তায় ফেলেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত পরীক্ষা করতে চান। নিজের দিকে ফেরাতে চেষ্টা করেন। মুমিন মাত্রই এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহর ওপর ভরসা করেন। আরও বেশি আল্লাহকে ডাকেন। বিপদকে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেন।

বিপদে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারের জন্য কিছু দোয়া পড়া যেতে পারে এতে আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে মুক্ত করবেন এবং রহমত দান করবেন বলে আশা করা যায়। এমন কিছু দোয়া হলো—

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ، وَرَبُّ الْأَرْضِ، وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

উচ্চারণ :লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু রাব্দুল আরশিল আযীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু রাব্দুস সামাওয়াতি অরাব্বুল আরয্বি অ রাব্বুল আরশিল কারীম।

অর্থ:  আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই; যিনি সুমহান, সহিষ্ণ। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই; যিনি সুবৃহৎ আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য আরাধ্য নেই; যিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও সম্মানিত আরশের অধিপতি। (বুখারি, হাদিস : ১৫৪)

আরেকটি দোয়া হলো—

اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو فَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রাহমাতাকা আরজু ফালা আকিলনী ইলা নাফসী ত্বরফাতা আইন, অ আসলিহ লী শা’নী কুল্লাহ, লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত।

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার রহমতেরই আশা রাখি। অতএব তুমি আমাকে পলকের জন্যও আমার নিজের উপর সােপর্দ করে দিয়ো না এবং আমার সকল অবস্থাকে সংশোধিত করে দাও। তুমি ছাড়া কেউ সত্য মাবুদ নেই।

আরেকটি দোয়া

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ্জালিমীন

অর্থ:  তুমি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র, নিশ্চয় আমি সীমালংঘনকারী। (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৮)

আরও একটি দোয়া

الله الله رَبِّي لَا أشرك بِهِ شَيْئا

উচ্চারণ : আল্লা-হু আল্লা-হু রাব্বী লা উশরিকু বিহী শাই।

অর্থ : আল্লাহ আল্লাহ আমার প্রভু, তার সাথে কিছুকে শরীক করি না। (সহিহ ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৫)