প্রতীকী ছবি

রাসূল সা.-এর অসংখ্য সাহাবি ছিলেন। তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারিত নয়। রাসূলের সাহাবি সংখ্যা নিয়ে কয়েকটি মতামত রয়েছে। তবে ইমাম মুসলিমের উস্তাদ হাফেজ আবু জুরয়া রহ. দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, সাহাবিদের সংখ্যা ১,১৪,০০০ (এক লাখ ১৪ হাজার)। 

জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহ. বলেন, সাহাবিদের সংখ্যা ১,২৪,০০০ (এক লাখ ২৪ হাজার)। এছাড়া আরও একাধিক মত পাওয়া যায়। মোটকথা, সাহাবিদের সংখ্যা এক লাখের বেশি।

রাসূলের এতো সাহাবির মধ্যে হাজারের ঊর্ধ্বে হাদিস বর্ণনা করেছেন মাত্র সাতজন সাহাবি। এরমধ্যে সর্বোচ্চ হাদিস বর্ণনা করেছেন আবু হুরায়রা (রা.)। তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ৫৩৭৪টি। 

আবু হুরায়রা রা. নবীজী সা.-কে পেয়েছেন মাত্র তিন থেকে চার বছর। অথচ তিনিই নবীজীর হাদিস সবচে’ বেশি বর্ণনা করেছেন। এত কম সময়ে এত বেশি হাদিস কীভাবে শিখেছেন তা নিজেই বর্ণনা করেছেন তিনি। হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেছেন—

আমাদের মুহাজির ভাইদের ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল; তাদের বাজারে যেতে হতো। আর আনসারী ভাইদের ছিল ক্ষেত-খামার; তাদের ওখানে সময় দিতে হতো। কিন্তু আমি ছিলাম আসহাবে সুফফার একজন নিঃষ্ব সদস্য! আমার না ছিল ক্ষেত-খামার, না ব্যবসা-বাণিজ্য; না ছিল ধন-সম্পদ, না ঘর-সংসার- কিছুই ছিল না আমার। আমি খেয়ে না খেয়ে নবীজীর দরবারেই পড়ে থাকতাম। কিছু জুটলে খেয়ে নিতাম, নইলে উপোস থাকতাম। যখন যা জুটত তাতেই তুষ্ট থাকতাম।

রাসূল সা.-এর খেদমত করতাম, তাঁর সঙ্গে সঙ্গে থাকতাম। যখন অন্যরা অনুপস্থিত তখনও আমি উপস্থিত থেকেছি, যাতে নবীজীর কোনো হাদিস আমার থেকে ছুটে না যায়। যাতে আমি নবীজীর সব হাদিস শুনতে পারি। (বুখারী, হাদিস : ২০৪৭; জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৩৭)