বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ, ছবি : সংগৃহীত

কোরআন হিফজ বা মুখস্ত করা পৃথিবীর কঠিন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই কঠিন কাজ করতে গিয়ে এক সময় আমাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল আমি হাফেজ হতে পারবো কি না। নিজের কোরআন হিফজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ

একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে নিজের হিফজ ও বিশ্বজয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেছেন, কোরআন হিফজ করা মানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটা হরফ আয়ত্ব করা। এটা অনেক কঠিন কাজ। স্বাভাবিক মেধায় তা সম্ভব নয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যাকে সাহায্য করেন তার পক্ষেই এই কাজ করা সম্ভব হয়।

আল্লাহ তায়ালার সাহায্য, শিক্ষকের স্নেহপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও পরিবারের সহযোগিতায় এই কঠিন কাজ সহজ হয়েছে জানিয়ে বিশ্বজয়ী এই হাফেজ বলেন—

হিফজ করতে গিয়ে এক সময় আমি পিছিয়ে পড়ছিলাম। খুব ধীরগতিতে চলছিল আমার পড়াশোনা। দুবার এমন হয়েছিল। প্রথমটি ছিল হিফজ শুরুর দিনগুলোতে। তখন বাড়িতে যেতাম বেশি বেশি। মাদরাসায় থেকেও বাড়ি পাগল ছিলাম। 

তিনি বলেন, এভাবে বাড়িতে যাওয়ার কারণে ধীর গতিতে চলছিল আমার জীবন। এতোটাই ধীরগতিতে আমার পড়াশোনা এগিয়ে চলছিল যে একটা সময় এসে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন আমি হাফেজ হতে পারবো কি না। দুই বার এমন হয়েছিল, প্রথমবার হয়েছিল যখন ১০ পারা হিফজ করছিলাম। দ্বিতীয়বার হয়েছিল ১৮ থেকে ২০ পারা হিফজ করার সময়।

এ সময় মুয়াজের বড় ভাইয়ের পরামর্শে মারকাজু ফয়জিল কোরআনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মোরতুজা হাসান ফয়েজি মাসুম তাকে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন জানিয়ে তিনি বলেন—

আমি যখন পিছিয়ে পড়ছিলাম তখন আমার বড় ভাই মাদরাসার প্রিন্সিপালের  সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি তখন নিজেই বিষয়টি দেখবেন বলে ভাইয়াকে আশ্বস্ত করেন।

এরপর তিনি আমাকে কাছে ডেকে সমস্যার কথা শুনে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তুমি পড়াশোনা করো, আল্লাহর কাছে দোয়া করো। আমিও তোমার জন্য দোয়া করবো। শিক্ষকের স্নেহ ও মমতাপূর্ণ পরামর্শে আমি উদ্যম ফিরে পাই। আবার নতুন করে হিফজ শুরু করি। যা আমাকে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।