সুইচ দিলেই মসজিদের ওপর চলে আসে গম্বুজ
মুসলিমদের অন্যতম প্রিয় মসজিদ পবিত্র মসজিদে নববী। রাসুল (সা.)-এর শহর মদিনায় অবস্থিত ওই মসজিদের নামে ময়মনসিংহে দৃষ্টিনন্দন এক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নামও রাখা হয়েছে ‘মদিনা মসজিদ’। মসজিদটির অবস্থান জেলা সদরের চরখরিচা গ্রামে।
অত্যাধুনিক এই মসজিদটি ময়মনসিংহ তথা দেশের ইতিহাসে এক অনন্য স্থাপনা। বিশেষত্ব হচ্ছে- বৈদ্যুতিক গম্বুজের সংযোজন। সুইচ অন করলেই সরে যায় গম্বুজটি। আর মসজিদের ভেতর থেকেই দেখা যায় পুরো ঝকঝকে নীল আকাশ।
বিজ্ঞাপন
দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় দুইশো কোটি টাকা। ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ।
নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও ২০১৭ সালের ৩ মার্চ জুমা আদায়ের মাধ্যমে নামাজের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি খুলে দেওয়া হয়। ৪ তলা বিশিষ্ট এ মসজিদের ভেতরে কাতারের সংখ্যা ১৭টি। প্রতি কাতারে ১১০ জন মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারবেন।
বাকের হোসেন নয়ন নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো পর্যন্ত মদিনা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তবে আমাদের এলাকায় মসজিদে নববীর আদলে মসজিদ নির্মিত হয়েছে। যেখানে আমরা প্রতিদিন নামাজ পড়তে পারছি। এটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসে। সবাই দেখে মুগ্ধ হয়। এজন্য আমরাও তৃপ্ত ও গর্বিত। আমরা আশা করি ও দোয়া করি, এই মসজিদকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের কবুল করেন এবং আমাদের ক্ষমা করে দেন।
তিনি আরও বলেন, এখনো প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ বাকি আছে। একটি মিনারের কাজ বাকি আছে। তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ হচ্ছে। সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও চলমান রয়েছে। এছাড়াও মোট ৭ একর জায়গা নিয়ে সীমানা প্রাচীরও করা হবে। আমরা আশা করছি,
আগামী এক বছরের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।