নামাজ পড়ার জন্য পবিত্র কাপড় পাওয়া না গেলে কী করবেন?
নামাজ পড়ার জন্য পবিত্র কাপড় পড়তে হয়। পবিত্র কাপড় ছাড়া নামাজ হবে না। তবে মানুষকে কখনো কখনো এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে যে, নাপাক কাপড় ছাড়া অন্য কোনো কাপড় কাছে থাকে না। আবার নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য পোশাক পবিত্র হওয়া জরুরি। এই অবস্থায় নামাজ পড়তে হবে নাকি কাজা করতে হবে?
এর উত্তরে ইসলামি আইন ও ফেকাহবিদরা বলেন, যদি নামাজ পড়ার জন্য পবিত্র কোনো কাপড় না থাকে শুধু অপবিত্র কাপড় থাকে, তাহলে যে কাপড়ে নাপাকি লেগেছে যদি ওই কাপড়ের চতুর্থাংশ বা তার বেশি অংশ পবিত্র হয় এবং নামাজ আদায়কারীর কাছে কাপড় ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকে এবং ব্যবস্থা করাও সম্ভব না হয়।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে নামাজের সময়ও শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ওই কাপড় দিয়ে ওয়াক্তের ভেতর নামাজ আদায় করে নেবে। পরে পুনরায় নামাজ পড়ার প্রয়োজন হবে না। (তাবয়িনুল হাকায়েক: ১/৯৭, এমদাদুল ফতোয়া: ১/৯৮, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৩/৮৭)
আরও পড়ুন
সময়মতো নামাজ আদায়ের গুরুত্ব
সময়মতো নামাজ আদায়ের বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নামাজ মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা, আয়াত, ১০৩)
সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি আছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তা যথাযথভাবে পালন করবে, আর অবহেলার কারণে এর কোনোটি পরিত্যাগ করবে না, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার করেছেন। আর যে ব্যক্তি তা (যথাযথভাবে) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেবেন কিংবা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৪২০)
সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন বলেন জানিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বর্ণিত হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণরূপে রুকু ও পরিপূর্ণ মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবে, তাকে ক্ষমা করার জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর যে ব্যক্তি এরূপ করবে না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করবেন, অন্যথায় শাস্তি দেবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৫)
এছাড়াও সময়মতো নামাজ আদায়কে সর্বোত্তম আমল বলে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত উম্মু ফারওয়া (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নামাজের সময় ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৬)