আমল, ইবাদত মানুষকে আল্লাহর কাছে প্রিয় করে তোলে। আমলের মাধ্যমে পরকালে নামাজ পাবে মানুষ। পরকালে সুন্দর জীবনের ভাবনা বেশি বেশি আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। হাদিসে দিন রাতের প্রতিটি ক্ষণের জন্য বিশেষ ও বিভিন্ন দোয়ার আমল শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এমন কিছু আমলের কথাও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যা আকারে খুবই অল্প ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি।

এমন একটি দোয়া সম্পর্কে এক হাদিসে ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে—

একদিন সকালে রাসূল সা. উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া রা.-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া রা. নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসূল সা. ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া রা. নামাজের স্থানে ছিলেন।

অতঃপর রাসূল সা. আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া রা. নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসূল সা.  বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’ জুয়াইরিয়া রা. বলেন, হ্যাঁ। 

রাসূল সা. বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি। এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারী হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। দোয়াটি হলো—

سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।

অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)