প্রতীকী ছবি

কোরআন তিলাওয়াত করা ও শোনা দুইটিই সওয়াবের কাজ। কোরআন তিলাওয়াতকারীকে হাদিসে আল্লাহর পরিজন বলা হয়েছে। যিনি নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করেন তাকে নিয়ে ঈর্ষার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

হজরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিছু মানুষ আল্লাহর পরিজন। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল, তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ২১৫)

কোরআন তিলাওয়াতের সময় তা মনোযোগ সহকারে শোনার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যখন কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন কান লাগিয়ে শোনো এবং চুপ থেকো।’ (সূরা আরাফ, আয়াত : ২০৪) 

এ বিষয়ে একটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি আয়াত মনোযোগ দিয়ে শুনবে তার জন্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে সওয়াব লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি তিলাওয়াত করবে, তার জন্য তা কিয়ামতের দিন নূরে পরিণত হবে। (মুসনাদে আহমদ, ২/৩৪১, মাজমাউয যাওয়াইদ, ৭/১৬২, তাফসিরে ইবনে কাসির, ২/২৮২, আব্দুর রাজ্জাক ৩/৩৭৩)

অন্য হাদিসে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, যদি কেউ আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াতও শোনে তাহলে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য নূরে পরিণত হবে। (সুনানে দারিমী, ২/৫৩৬, সুসান্নাফু আব্দুর রাজ্জাক, ৩/৩৭৩)

প্রায় সব মুসলমানের বাড়িতে কোরআনের কপি থাকে। দীর্ঘ দিন তিলাওয়াত বা বাড়িতে রাখার ফলে কোরআনের কপি অনেক সময় পুরো হয়ে যায়। কোরআনে কোনো কপি, আয়াত বা হাদীস সম্বলিত গ্রন্থ যদি পড়ার অনুপযোগি হয়ে যায়, তাহলে সেগুলোকে কোন পবিত্র কাপড় দিয়ে ঢেকে এমন জায়গায় দাফন করে দিতে হবে যেখানে স্বাভাবিকভাবে কোন মানুষ পা মাড়িয়ে চলে না। এটাই সঠিক পদ্ধতি।

আর যদি পুঁতে ফেলা সম্ভব না হয়, তাহলে ভারী কোনো বস্তুর সঙ্গে বেঁধে গভীর কোনো জলাশয়ে ডুবিয়ে দিতে হবে।

কোরআনে কারীম পোড়ানো উচিত নয়। এর মাধ্যমে কোরআনকে অসম্মান করা হয়। কোরআনে কারীম ও হাদীসে নববীর অসম্মান হয় এমন কোন কাজ করা জায়েজ নয়।

(রদ্দুল মুহতার: ১/১৭৭; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃষ্ঠা: ৭১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১৮/৬৮)