নামাজের শুরুতে হাত তুলবেন যেভাবে
সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা একজন মুসলিমের অন্যতম দায়িত্ব। সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন বলেন জানিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
বর্ণিত হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণরূপে রুকু ও পরিপূর্ণ মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবে, তাকে ক্ষমা করার জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর যে ব্যক্তি এরূপ করবে না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করবেন, অন্যথায় শাস্তি দেবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৫)
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও সময়মতো নামাজ আদায়কে সর্বোত্তম আমল বলে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত উম্মু ফারওয়া (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নামাজের সময় ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৬)
আরও পড়ুন
নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলা ফরজ। আর এ সময় কান পর্যন্ত দুই হাত উঠানো সুন্নত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকবিরে তাহরিমার সময় উভয় হাত কান বরারব উঠাতেন। অন্য কোনো তাকবিরে বক্ষের ওপরে উঠাতেন না।
হজরত বারা ইবনে আযিব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজ শুরু করতেন, তখন তার উভয় হাতকে এমনভাবে উঁচু করতেন, যাতে তার বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় কর্ণদ্বয়ের সমান্তরাল থাকে। (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ)
তাকবির বলার সময় হাত না উঠালেও নামাজ হয়ে যায়। অনেক সময় মসজিদে জামাতে নামাজ পড়তে গিয়ে দেখা যায় ইমাম রুকুতে চলে যাচ্ছেন। তাই অনেকে দ্রুত দৌড়ে জামাত ধরতে গিয়ে হাত তুলতে ভুলে যান। মনে রাখতে হবে, হাত তুলতে না পারলেও যেন মুখে তাকবির বলতে ভুল না হয়। কারণ তাকবির না বললে নামাজ শুরুই হবে না।
আর নামাজে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করা বা দৌড়ে যাওয়া উচিত নয়। রাকাত ছুটে গেলেও অসুবিধা নেই, ইমাম নামাজ শেষ করলে সেটা পড়ে নেওয়ার সুযোগ আছে।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাজের ইকামত হয়ে গেলে তোমরা দৌড়ে এসো না, বরং হেঁটে হেঁটে আসবে। তোমাদের উচিত শান্তভাবে, স্বাভাবিক গতিতে আসা। তারপর যতটুকু ইমামের সঙ্গে পাবে তা আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে ইমামের সালামের পর আদায় করবে। (বুখারি : ৯০৮; বাদায়েউস সানায়ে : ১/৪৬৫)