ফাইল ছবি

মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে মনে হলে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে অসিয়ত করে রাখেন। কোরআন ও হাদিসের ভাষ্যমতে অসিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। 

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয় যে, তার অসিয়তযোগ্য কিছু রয়েছে আর সে দু’রাত কাটাবে অথচ তার কাছে তার অসিয়ত লিখিত থাকবে না।’-(বুখারি, হাদিস : ২৫৮৭; মুসলিম, হাদিস : ১৬২৭)

কাউকে ঠকানোর জন্য কখনো অসিয়ত করা যাবে না। ওয়ারিশদের হক কম দেওয়ার জন্য, তাদের বঞ্চিত করার জন্য অসিয়ত করা চরম অন্যায়। কবিরা গুনাহ। যা জুলুমের শামিল।

মৃত্যুর আগে অনেকের ইচ্ছা থাকে তার জানাজা প্রিয় কেউ পড়া। তাই অসিয়ত করে যায় যে, আমার জানাজা অমুকে পড়াবে। এ জাতীয় অসিয়তের ক্ষেত্রে শুধু সে ব্যক্তি জানাজার নামাজ পড়ানোর বেশি হকদার হয়ে যাবে কি না— তা জানতে চান অনেকে।

এ বিষয়ে আলেমদের মতামত হলো— জানাজার নামাজা পড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন মৃতের ওলি বা অভিভাবকেরা। তারা চাইলে মৃত ব্যক্তি যার ব্যাপারে জানাজা পড়ানোর অসিয়ত করেছেন তাকে দিয়েও জানাজা পড়াতে পারবেন। 

কোনো কোনো সাহাবা-তাবেয়ী নিজের জানাজা পড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কাউকে অসিয়ত করে গেছেন এবং পরবর্তীতে তার অভিভাবকরা তা পূর্ণ করেছেন। তবে অভিভাবকরা চাইলে অসিয়তকৃত ব্যক্তি ছাড়া অন্যকে দিয়ে কিংবা নিজেরাও জানাজা পড়াতে পারবে।

(খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২২; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১৫৫; আলবাহরুর রায়েক ২/১৮১; আল কাউসার অনলাইন)