হজরত মুসা আ. পৃথিবীর অন্যতম স্বৈরাচার শাসক ফেরাউনের সময়কালের নবী ছিলেন। ফেরাউন তার সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য জনগণের উপর নির্যাতন চালাতো। বনী ইসরাঈলের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞও চালিয়েছিল সে। এসব করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, নিজেকে খোদাও দাবি করছিল। 

এই অত্যাচারী ফেরাউনের দরবারে একত্ববাদের আহ্বান নিয়ে গিয়েছিলেন নবী মুসা আ.। ফেরাউন ছিল অন্যতম অত্যাচারী ও উদ্ধত্যদের একজন। তাই তার কাছে আল্লাহর বাণী নিয়ে যাওয়ার আগে মুসা আ. নিজের একজন সহযোগী চেয়ে আল্লাহর কাছে আবেদন করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর আবেদন কবুল করেছিলেন এবং তাঁর ভাই হারুন আ.-কে নবী বানিয়েছিলেন।

তাফসিরবিদ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, হারুন আ. মুসা আ. থেকে চার বছরের বড় ছিলেন। মুসা আ. মহান আল্লাহর দরবারে এই মর্মে ফরিয়াদ করেছেন, যেন তাঁর ভাইকে নবী মনোনীত করা হয়। 

বিষয়টি পবিত্র কোরআনেও এসেছে। মুসা আ. তাঁর দোয়ায় বলেছেন, ‘(হে আমার রব) আমার জন্য আমার স্বজন থেকে একজন সাহায্যকারী বানিয়ে দাও—আমার ভাই হারুনকে। তার মাধ্যমে আমার শক্তি সুদৃঢ় করো।

আর তাকে আমার কাজে অংশীদার করো, যাতে আমরা বেশি পরিমাণে তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি। তুমি তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা।’ (সূরা  ত্ব-হা, আয়াত : ২৯-৩৪)

মহান আল্লাহ মুসা (আ.)-এর এই ফরিয়াদ কবুল করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে পরের আয়াতে এসেছে, ‘তিনি (আল্লাহ) বলেন, হে মুসা, তুমি যা চেয়েছ, তা তোমাকে দেওয়া হলো।’ (সূরা ত্ব-হা, আয়াত : ৩৬)

পবিত্র কোরআনের আরেক সূরায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর নিজ অনুগ্রহে তার ভাই হারুনকে নবী বানিয়ে তাকে সাহায্যকারী বানিয়ে দিলাম। (সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ৫৩)।