সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ দিন শুক্রবার। এ দিনের অন্যতম ফজিতপূর্ণ আমল জুমার নামাজ। জুমার নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়। জুমার জামাতের জন্য ইমাম ছাড়াও আরও তিনজন মুসল্লি উপস্থিত থাকা আবশ্যক। ইমাম খুতবা দেবেন, বাকি তিনজন খুতবা শুনবেন এবং জুমায় শরিক থাকবেন। অন্যথায় জুমার জামাত হবে না। 

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নির্জন জায়গায় থাকেন যেখানে জুমার নামাজ আদায়ের মতো যথেষ্ট পরিমাণ মুসল্লি না থাকে তাহলে তার ওপর জুমা পড়া ওয়াজিব নয় তবে এমন ব্যক্তিকে জুমার বদলে জোহর আদায় করে নিতে হবে।

এমনিভাবে বন্যা কবলিত এলাকায় যদি জুমার নামাজ আদায়ের জন্য যথেষ্ট মুসল্লি না থাকে তাহলে তাকেও জুমার পরিবর্তে জোহর আদায় করে নিতে হবে।

উপরে বর্ণিত বিষয়টি একেবারে জুমার নামাজ আদায় করতে পারার কোনো ক্ষেত্রে পালনীয়। তবে যদি কোনো এলাকায় বন্যার্ত ব্যক্তি পানিতে আটকা পড়ে যায় এবং তার কাছে নৌকা থাকে তাহলে তিনি নামাজ নৌকাতে পড়ে নেবেন। 

আর যদি নৌকা না থাকে তাহলে তিনি নিরাপদ স্থানে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।  ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে নিরাপদ স্থানে যেতে না পারলে সময় শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে পানিতেই নামাজ পড়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পানিতে দাঁড়িয়ে যেভাবে সম্ভব সেভাবেই নামাজ আদায় করবে।

যেমন—পানি যদি অল্প হয় এবং কেউ রুকু করতে সক্ষম হন তাহলে রুকু দিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। আর সেজদা করে নেবেন ইশারায়। যদি কেউ রুকু করতে না পারেন তাহলে পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবেন এবং রুকু-সেজদা ইশারায় করে নেবেন। (হাশিয়াতুত তাহতাবি আলা মারাকিয়িল ফালাহ: ৪০৭, রদ্দুল মুহতার: ৩/২৪)