মক্কায় কোরআন প্রতিযোগিতায় একইসঙ্গে প্রথম ২ বাংলাদেশি
সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪৪তম কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় জোড়া সাফল্য বয়ে এনেছেন বাংলাদেশের দুই প্রতিযোগী। এই দুই বিজয়ী হলেন হাফেজ আনাছ বিন আতিক্ব ও হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। ১২৩টি দেশের ১৭৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে পৃথক দুটি গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তারা।
আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ৩য় গ্রুপে ১ম স্থান অর্জন করেছেন রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজের ছাত্র হাফেজ আনাছ বিন আতিক্ব। একই প্রতিযোগিতার ৪র্থ গ্রুপে ১ম স্থান অর্জন করেছেন রাজধানীর মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি ঢাকার কিতাব বিভাগের ছাত্র হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
পুরস্কার হিসেবে হাফেজ আনাছ সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দুই লাখ রিয়াল পুরস্কার লাভ করেন। আর হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দেড় লাখ রিয়াল পুরস্কার লাভ করেন।
প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। প্রতিযোগিতা শেষে বুধবার (২১ আগস্ট) এশার নামাজের পর (বাংলাদেশ সময় রাত বারোটার পর) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল বিন আবদুল আজিজ।
আরও পড়ুন
পাঁচ বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার দেয়া হয়। পাঁচ ক্যাটাগরি হলো- ১. শাতেবি পদ্ধতিতে সাত কেরাতসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ২. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ এবং একক শব্দগুলোর তাফসির, ৩. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ৪. তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ, ৫. তাজবিদসহ পাঁচ পারা হিফজ (শেষোক্ত বিভাগটি ওয়াইসিভুক্ত নয়- এমন দেশের জন্য প্রযোজ্য)।
এবারের প্রতিযোগিতায় হিফজ দুই গ্রুপে দুইজন হাফেজে কোরআন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। হাফেজ আনাছ ৩০ পারা গ্রুপের প্রতিযোগী। তিনি শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছেরী পরিচালিত মারকাজুত তাহফিজের ছাত্র। এতে হাফেজ আনাছ সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দুই লাখ রিয়াল পুরস্কার লাভ করেন।
আর হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ১৫ পারা গ্রুপের প্রতিযোগী। তিনি মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম পরিচালিত মারকাযু ফয়জিল কুরআনের শিক্ষার্থী। তিনি সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দেড় লাখ রিয়াল পুরস্কার লাভ করেন।
প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধায়ক সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লাতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শায়খ জানিয়েছেন, এ বছরের প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন।