লন্ডন ব্রিজে আজান দিয়ে প্রশংসিত বাংলাদেশি শফিক
ব্রিটেনের ঐতিহ্যবাহী লন্ডন টাওয়ার ব্রিজে আজান দিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনা তৈরি করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাজী শফিকুর রহমান। লন্ডন টাওয়ার ব্রিজে শুক্রবার আয়োজিত এক আন্তঃধর্মীয় অনুষ্ঠানে ইফতারের আগে তিনি আজান দেন। আর এতে তার চমৎকার সুরে সবাই মুগ্ধ হয় স্যোসাল মিডিয়ায় ভিডিওটি শেয়ার করতে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আরব নিউজে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।
শুক্রবার (০৭ মে) লন্ডন ব্রিজে— টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস, ইস্ট লন্ডন মস্ক, লন্ডন মুসলিম সেন্টার ও টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরাম যৌথভাবে ওই ইফতার পার্টির আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, কাজী শফিকুর রহমানের বয়স পঁয়ত্রিশ। তিনি অবিকল মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন শেখ আলী আহমাদ মোল্লার সুরে আজান দেন। এতে উপস্থিত সবাই মোহিত হয়। ভিডিও দেখে অন্যরাও নিজেদের মুগ্ধতা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সাল থেকেই মক্কা নগরীর পবিত্র মসজিদুল হারামে ও আল্লাহর ঘরের সামনে আজান দিচ্ছেন মুয়াজ্জিন শেখ আলী আহমাদ মোল্লা। তার সুর ও মধুমাখা কণ্ঠ সারা বিশ্বে প্রশংসিত।
শফিকুল রহমানের মামাতো ভাই মুয়াজ হুসাইন তার ব্যাপারে বলেন, কাজী শফিকুর রহমান— সাধারণের মাঝে অসাধারণ একজন ব্যক্তি। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হলেও ছোট থাকতেই পরিবারসহ ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাকুটা গ্রামে তার জন্ম। লন্ডনে ছোটখাটো ব্যবসা দিয়ে শুরু হয় জীবন। আপন চেষ্টা-শ্রম ও দৃঢ় মানসিকতার বিনিময়ে আজ তিনি প্রাইভেট এয়ারওয়েজ ‘ফিরনাজ এয়ারওয়েজ কোম্পানি’র ফাউন্ডার ও সিইও। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন ধার্মিক মানুষ। তার পিতা কাজী মাওলানা আবদুস সুবহান (রহ.) একজন দ্বীনদার ও পরহেজগার আলিম ছিলেন। তার নানা হচ্ছেন— বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলিম খলিফায়ে মাদানী আল্লামা আবদুল গফফার শাইখে মামরখানী (রহ.)।
জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই আজান দেয়ার অভ্যাস কাজি শফিকুর রহমানের। ইফতারির আগে অনুষ্ঠানে হঠাৎ করেই তাকে আজান দিতে বলা হয়। এ সময় তার আজানের সুর অনুষ্ঠানে মুগ্ধতা ছড়ায়। অনেকেই তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়েছেন।
মুয়াজ হুসাইন আরও বলেন, এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে লন্ডন ক্যানারী ওয়ার্ফেও তিনি আজান দিয়েছিলেন। তার দেওয়া সেই আজান পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।