প্রতীকী ছবি

খাবারের সময় রাসূল সা.-এর সামনে যা আসতো তিনি তা তৃপ্তি নিয়ে খেয়ে নিতেন। আর যা নেই তা নিয়ে ভাবতেন না। হালাল ও পবিত্র সবধরনের খাবার খেয়ে নিতেন। তবে অরুচিকর কিছু হলে তা হারাম না হলেও বিরত থাকতেন। 

তিনি কখনো কোনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। ভালো মনে হলে খেতেন, নইলে এমনভাবে রেখে দিতেন যেন তিনি সেটা অনভ্যাস বশত রেখে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত অরুচির কারণে তিনি কোনো খাবার কারো জন্য অবৈধ বলেননি। 

হালুয়া ও মধু তাঁর প্রিয় খাবার ছিল। তিনি উট, ভেড়া, মুরগী, দুম্বা, খরগোশের গোশত খেতেন। বকরির গোশতও খেতেন রাসূল সা.। সামুদ্রিক জীব, মাছও খেয়েছেন। 

কাচা-পাকা খুরমা খেতেন তিনি। দুধ, ছাতু, পানি মেশানো মধুও খেতেন রাসূল সা.। খেজুর ভেজানো পানি, দুধ ও আটা দিয়ে তৈরি পিঠা খেতেন। পনীর, পাকা খেজুর, সিরকা, গোশতের ঝোল, চর্বি দিয়ে রান্না করা ঈহালা দিয়ে রুটি খেতেন।

ভূনা গোশত, কলিজা খেতেন। লাউ তরকারিও খেতেন রাসূল সা.। 

রাসূল সা.-এর অভ্যাসই ছিল ক্ষুধা মেটানোর জন্য তিনি যা পেতেন খেতেন, কিছু না থাকলে কখনো রাগারাগি বা মন্দ আচরণ করতেন না। ক্ষুধার যন্ত্রণায় তিনি পেটে পাথরও বেধেছিলেন। 

(যাদুল মাআদ, ১/৯৭)

জীবনের প্রতিটি বিষয়ের মতো খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও রাসূল সা.-এর সুন্নত রয়েছে। রাসূল সা. যেভাবে খাবার খেতেন ও খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তার সুন্নত ছিল— 

>> ডান হাত দিয়ে খাওয়া।
>> দোয়া পড়া।
>>পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া।
>> আঙুল চেটে খাওয়া।
>> হাত চেটে খাওয়া।
>> খাবার খাওয়া শেষে দোয়া পড়া।