ধার্মিক তরুণদের আয়না ঘরে নিয়ে জঙ্গি নাকট সাজানোর লোমহর্ষক ঘটনাগুলো একের পর এক সামনে আসতে শুরু করেছে।  

যারা বিগত দিনগুলোতে প্রশাসনের জঙ্গি নাটকে বিভ্রান্ত হয়ে ইসলামপন্থীদের জঙ্গি বলে গালি দিয়েছেন, আপনাদের এখন লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া উচিত। 

গুয়ানতানামো বে কিংবা আবু গারিব কারাগারের নাম শুনলেই আমাদের গা শিউরে ওঠে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে লোমহর্ষক নির্যাতনের মর্মান্তিক সব দৃশ্য। অথচ আমরা এখন আয়না ঘরের যে বীভৎসতার খবর জানছি, তা যেন গুয়ানতানামো বে, আবু গারিব কারাগারকেও হার মানায়। 

আয়না ঘরে হয় কী, ইতোমধ্যে আমরা সবাই তা জেনে গেছি। আয়না ঘর হয়ে উঠেছিল জঙ্গি নাটক বানানোর বিশাল মঞ্চ। প্রশাসনের যখনই কোনো কথিত জঙ্গির প্রয়োজন হতো, নিরীহ কোনো মানুষকে ধরে এনে আয়না ঘরে রাখত আর নির্যাতন করে মিডিয়ার সামনে জঙ্গি হিসেবে পেশ করত। 

এদের এই ঘৃণ্য চক্রান্তের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে ধার্মিক মানুষেরা। এর মাধ্যমে কত মানুষের স্বপ্ন যে ধূলিসাৎ হয়েছে, কত তরুণের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে, কত যুবকের তরতাজা প্রাণ যে নষ্ট হয়েছে, গুম হওয়া স্বজনের প্রতীক্ষায় থেকে কত পরিবার যে একটু একটু করে ক্ষয় হয়েছে, তার কোনো হিসাবই নেই। 

যারা আমাদের এই সবুজ বাংলাদেশে গুয়ানতানামো বে তৈরি করেছে, অসংখ্য নিরীহ মানুষের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে, অগণিত যুবককে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বছরের পর বছর অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি করে রেখেছে, আমরা সেসব কালপ্রিটদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। 

আমরা চাই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো মানুষ গুম না হোক, প্রতিটি অন্যায়কারী বিচারের মুখোমুখি হয়ে উপযুক্ত সাজা পাক, ভুল ভাঙুক ও প্রহসন বন্ধ হোক আলেম সমাজ ও ধার্মিক মানুষদের প্রতি।