সূরা আলাক পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা। সূরাটি পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ১৯। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। 

নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে প্রমাণিত, সূরা আলাক থেকেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ওহীর সূচনা হয় এবং এ সূরার প্রথম পাঁচটি আয়াত সর্ব প্রথম নাজিল হয়। অধিকাংশ আলেম এ বিষয়ে একমত। 

সূরা আলাক

اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ ١ خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍ ۚ ٢ اِقۡرَاۡ وَرَبُّکَ الۡاَکۡرَمُ ۙ ٣ الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَمِ ۙ ٤ عَلَّمَ الۡاِنۡسَانَ مَا لَمۡ یَعۡلَمۡ ؕ ٥ کَلَّاۤ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَیَطۡغٰۤی ۙ ٦ اَنۡ رَّاٰہُ اسۡتَغۡنٰی ؕ ٧ اِنَّ اِلٰی رَبِّکَ الرُّجۡعٰی ؕ ٨ اَرَءَیۡتَ الَّذِیۡ یَنۡہٰی ۙ ٩ عَبۡدًا اِذَا صَلّٰی ؕ ١۰ اَرَءَیۡتَ اِنۡ کَانَ عَلَی الۡہُدٰۤی ۙ ١١ اَوۡ اَمَرَ بِالتَّقۡوٰی ؕ ١٢ اَرَءَیۡتَ اِنۡ کَذَّبَ وَتَوَلّٰی ؕ ١٣ اَلَمۡ یَعۡلَمۡ بِاَنَّ اللّٰہَ یَرٰی ؕ ١٤ کَلَّا لَئِنۡ لَّمۡ یَنۡتَہِ ۬ۙ  لَنَسۡفَعًۢا بِالنَّاصِیَۃِ ۙ ١٥ نَاصِیَۃٍ کَاذِبَۃٍ خَاطِئَۃٍ ۚ ١٦ فَلۡیَدۡعُ نَادِیَہٗ ۙ ١٧ سَنَدۡعُ الزَّبَانِیَۃَ ۙ ١٨ کَلَّا ؕ  لَا تُطِعۡہُ وَاسۡجُدۡ وَاقۡتَرِبۡ ٪ٛ ١٩

সূরা আলাকের বাংলা উচ্চারণ : 

১. ইকরা বিছমি রাব্বিকাল্লাযী খালাক।
২. খালাকাল ইনছানা মিন আলাক।
৩. ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরাম।
৪. আল্লাযী আল্লামা বিলকালাম।

৫. আল্লামাল ইনছানা-মা-লাম ইয়ালাম।
৬. কাল্লা-ইন্নাল ইনছানা লাইয়াতগা।
৭. আররাআ-হুছ তাগনা।
৮. ইন্না ইলা-রাব্বিকার রুজ‘আ।

৯. আরাআইতাল্লাযী ইয়ানহা।
১০. আবদান ইযা-সাল্লা।
১১. আরাআইতা ইন কা-না আলাল হুদা।
১২. আও আমারা বিত্তাকাওয়া।

১৩. আরাআইতা ইন কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা।
১৪. আলাম ইয়ালাম বিআন্নাল্লাহা ইয়ারা।
১৫. কাল্লা-লাইল্লাম ইয়ানতাহি লানাছফাআম বিন্না-ছিয়াহ।
১৬.না-ছিয়াতিন কা-যিবাতিন খা-তিআহ।

১৭. ফাল-ইয়াদউ নাদিয়াহ।
১৮. ছানাদউঝ-ঝাবা-নিয়াহ।
১৯. কাল্লা- লা-তুতি‘হু ওয়াছজুদ ওয়াকতারিব (সিজদার আয়াত)।

সূরা আলাকের বাংলা অর্থ : 

পড় তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি (সব কিছু) সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্ত দ্বারা। পড় এবং তোমার প্রতিপালক সর্বাপেক্ষা বেশি মহানুভব। যিনি কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না। বস্তুত মানুষ প্রকাশ্য অবাধ্যতা করছে। বস্তুত মানুষ প্রকাশ্য অবাধ্যতা করছে। কেননা সে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে। এটা নিশ্চিত যে, তোমার প্রতিপালকের কাছেই সকলকে ফিরে যেতে হবে। তুমি কি দেখেছ সেই ব্যক্তিকে, যে বাধা দেয়। এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে? আচ্ছা বল তো, সে (অর্থাৎ নামায আদায়কারী) যদি হেদায়েতের উপর থাকে। অথবা তাকওয়ার আদেশ করে (তখন তাকে বাধা দেওয়া কি পথভ্রষ্টতা নয়?)।

আচ্ছা বল তো, সে (বাধাদানকারী) যদি সত্য প্রত্যাখ্যান করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে সে কি জানে না আল্লাহ দেখছেন? খবরদার! সে নিবৃত্ত না হলে আমি তার মাথার অগ্রভাগের চুলগুচ্ছ ধরে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাব। সেই চুলগুচ্ছ, যা মিথ্যাচারী, গুনাহগার। সুতরাং সে ডাকুক তার জলসা-সঙ্গীদের। আমিও ডাকব জাহান্নামের ফেরেশতাদের। সাবধান! তার আনুগত্য করো না এবং সিজদা কর ও নিকটবর্তী হও। (সূরা আলাক, আয়াত : ১-১৯)