জান্নাতে মানুষ পৃথিবীর মতো স্ত্রী ও পরিবার লাভ করবে। আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ হিসেবে পুরুষরা ‘হুর’ লাভ করবে। হুর স্ত্রীদের গঠন ও সৌন্দর্য হবে অতুলনীয়। 

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা পরিধান করবে মিহি ও পুরু রেশমি বস্ত্র এবং মুখোমুখি হয়ে বসবে। অনুরূপ আমি তাদেরকে সঙ্গিনী দান করব আয়তলোচনা হুর।’ (সুরা : দুখান, আয়াত : ৫৩-৫৪)

হুররা হবে সুরক্ষিত কুমারী। তাদের  আগে কোনো জিন বা মানুষ স্পর্শ করেনি। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা হুর, তাঁবুতে সুরক্ষিতা।...তাদের এর আগে কোনো মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি। (সূরা আর রহমান, আয়াত : ৭২ ও ৭৪)

হুরদের সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত উম্মে হানী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বেহেশতের মধ্যে মিশ্ক–আম্বরের এক শহর তৈরী করেছেন, যার পানি হলো সুমিষ্ট ও সুপেয় বৃক্ষগুলো হবে নূরের তৈরি, সেখানে থাকবে অপূর্ব সুন্দরী হুরেরা, যাদের সত্তরটি করে চুলের গোছা হবে। এদের মধ্যে যদি একজনও দুনিয়াতে নূর বিকীরণ করে, তা হলে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত আলোয় আলোকিত হয়ে যাবে এবং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মধ্যবর্তী স্থানে তাদের সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়বে। 

লোকজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। এগুলো কাদের জন্য ? রাসূল সা. বললেন: যারা কর্জ আদায়ের ব্যাপারে একটু সহজ ও সহানুভূতিশীল হয়।

অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, রাসূল সা. বলেছেন: বেহেশতে এ হুরদের কেউ যদি পৃথিবীতে আগমন করে, তা হলে এর পূর্ব থেকে পশ্চিমের মধ্যবর্তী স্থান সম্পূর্ণ আলোকময় হয়ে উঠবে এবং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মধ্যবর্তী স্থান তার সুগন্ধে সুবাসিত হয়ে যাবে।

অপর এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : আল্লাহ তায়ালা মিশক–আম্বর দ্বারা একটি শহর তৈরী করেছেন যা আরশের নীচে লটকানো অবস্থায় আছে। এর বৃক্ষগুলো নূরের তৈরি, পানি হলো সুমিষ্ট। এতে রক্ষিত ‍হুরগণ বেহেশতের ঘাস থেকে তৈরী। এদের প্রত্যেকের সত্তরটি করে চুলের বেণী বা গুচ্ছ হবে। যদি তাদের মধ্যে একজনকে পূর্ণ দিগন্তে লটকিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তা পশ্চিম দিগন্তের সমস্ত কিছুই আলোকময় করে দেবে। (মুসনাদ, হাদিস : ৫২৩)