সুস্থ থাকলে সব কাজ স্বাভাবিকভাবে করতে পারে মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়লে কোনো কাজ ঠিকমতো করা যায় না। অনেক সময় মানুষ এতোটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, কোনো কিছুই অন্যের সাহায্য ছাড়া করা যায় না। এমনকি একান্ত ব্যক্তিগত কাজ বাথরুমও নিজে নিজে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। এ কাজেও অন্যের সাহায্য নিতে হয়।

বাথরুম যেহেতু মানুষ একান্ত ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন, তাই এখানে অন্যের সাহায্য নেওয়া বিব্রতকর। এছাড়াও এখানে ব্যক্তির সতর খোলার বিষয় থাকে—

তাই অসুস্থতার কারণে নিজে বাথরুম ব্যবহার বা ইস্তিঞ্জা করতে সক্ষম নয়-এমন মাজুর ব্যক্তি পুরুষ হলে ছেলে বা অন্য কোনো পুরুষ যথাসম্ভব সতরের দিকে না তাকিয়ে ইস্তিঞ্জা করিয়ে দেবে। ওজরের কারণে এমনটি করার দ্বারা গুনাহ হবে না। 

আর অসুস্থ ব্যক্তি নারী হলে তার মেয়ে বা পুত্রবধূ কিংবা অন্য কোনো সেবিকা তাকে বাথরুম বা ইস্তিঞ্জা করিয়ে দিতে সাহায্য করবে। 

নারীদের মধ্যে কেউ না থাকলে এমন পরিস্থিতিতে ছেলেও করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সতরকে যথাসম্ভব আড়াল করে নেবে এবং সতরের দিকে নজর না পড়ে এভাবে করার চেষ্টা করবে। আর হাতে গ্লাভস জাতীয় কিছু লাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। (কিতাবুল আসল : ২/২৩৮; আলমুহিতুল বুরহানি : ৫/৩৩৭; রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৬১)। 

প্রসঙ্গত,  শরীরের যেসব অঙ্গ লজ্জার কারণে ঢেকে রাখা হয় তাকে সতর বলা হয়।

ইসলামের পরিভাষায়, পুরুষের সতর বা ঢেকে রাখতে হয়- এমন অংশ হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। অর্থাৎ এতটুকু স্থান অন্য ব্যক্তিদের সামনে ঢেকে রাখা ফরজ। বাকি মানুষের সামনে যাওয়ার সময় ক্ষেত্র ও সমাজ হিসেবে যা শালীন ও খোদাভীতি প্রকাশ করে এমন পোশাক পরিধান করা উত্তম।

আর মাহরামদের সামনে নারীদের সতর হলো- মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দানসংশ্লিষ্ট সিনার ওপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর। অর্থাৎ, এর বাইরের অংশ ঢেকে রাখতেই হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/৩২)

এর বাইরে নারীদের জন্য গায়রে মাহরামের সামনে পূর্ণ শরীরই সতর। তবে অতীব প্রয়োজনে চেহারা, পা ও হাত খোলা জায়েজ আছে। যেমন—রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড় হলে, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া ইত্যাদি।