মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর পরে মক্কার আরাফার ময়দানে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তর মসজিদ মসজিদে নামিরা। এখান থেকেই হজের খুতবা দেওয়া হয়। এই মসজিদটিতে হাজিদের স্বাগত জানাতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 

আজ সৌদি আরবে ৯ জিলহজ। এদিন হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন। এখানে অবস্থানের মাধ্যমে তারা হজের প্রধান রোকন পালন করবেন। এখানে মসজিদে নামিরাতে তারা জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে এখানে জোহরের সময়েই আছরের নামাজ আদায় করা হবে।

সৌদি সরকারের সময়কালে মসজিদে নামিরাতে সবথেকে বেশি সম্প্রসারণ কাজ হয়েছে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৩৪০ মিটার এবং প্রস্থ উত্তর থেকে দক্ষিণে ২৪০ মিটার। এর আয়তন ১১ লাখ বর্গ মিটারেরও বেশি। মসজিদের পিছনে উঠান রয়েছে যার আয়তন ৮ হাজার বর্গ মিটার।  দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে মসজিদটিতে ৪ লাখ মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে।

মসজিদে মিনার আছে ৬টি। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৬০ মিটার।মসজিদটিতে ৬৪টি গম্বুজ এবং ১০টি প্রধান দরজা রয়েছে।

আরাফার দিন খুতবা ও নামাজের দৃশ্য স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য মসজিদের বাইরে আলাদা একটি কামরা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এদিন মিনা প্রান্তরে অবস্থান করেছেন হাজিরা। সেখান থেকে আজ  দলে দলে আরাফাতের ময়দানে যাচ্ছেন হজযাত্রীরা।  

হজের নিয়ম অনুযায়ী জিলহজ মাসের ৯ তারিখে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন হজযাত্রীরা। এরপর সেখানে অবস্থান করেন তারা।

এবার হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিল। তিনি আরাফাতের মসজিদে নামিরাহ থেকে হাজিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেবেন। এছাড়া এই মসজিদে জোহর এবং আসরের নামাজের ইমামতিও করবেন তিনি।

এরপর সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন। ওই সময় প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করার জন্য তারা নুড়ি পাথরও সংগ্রহ করবেন।

মুজদালিফায় হজযাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ফজর নামাজ পড়ে তারা আবারও চলে যাবেন তাঁবুর শহর মিনায়।

সূত্র : আল-আরাবিয়া