মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান পবিত্র মক্কা। হজ-ওমরা পালনের জন্য মক্কায় প্রবেশ করতে হয়। এখানে বায়তুল্লাহ, সাফা-মারওয়া ও সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোকে ঘিরে হজ-ওমরার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। 

হজ-ওমরার জন্য মক্কায় প্রবেশের সময় হজ-ওমরাযাত্রীরা কিছু শিষ্টাচারের প্রতি খেয়াল রাখতে পারেন। এখানে এমন কিছু শিষ্টাচার তুলে ধরা হলো—

>> মক্কায় পৌঁছে সুবিধাজনক কোন স্থানে একটু বিশ্রাম করে নেওয়া উচিত। যেন ক্লান্তি দূর হয় এবং ইবাদত পালনের পূর্ণ শক্তি অর্জিত হয়। 

>> হজ বা ওমরার তাওয়াফের আগের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হতে হবে। এটা জরুরি। 

>> সম্ভব হলে গোসল করে নেয়া মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করতেন। (বুখারি) 

সুযোগ না পেলে গোসল না-করলেও চলবে। তবে নাপাকী থেকে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে।

>> সহজসাধ্য হলে উঁচুভূমি এলাকা দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করাও মুস্তাহাব। (বুখারি) 

>>‘বাবুস্ সালাম’গেট দিয়ে ঢুকা উত্তম। তা সম্ভব না হলে যে কোন দরজা দিয়ে ঢুকতে পারেন।

>> পবিত্র এই শহরে প্রবেশের সময় বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তেগফার করা, বিনয় ও আদবের সঙ্গে তালবিয়া ও দরুদ পাঠ করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক।

>> হারাম শরীফে প্রবেশকালে উত্তম হলো ডান পা আগে দিয়ে ঢুকা এবং নীচের দোয়াটি পড়া—

أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ - اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

এবং মসজিদে হারাম থেকে বের হওয়ার সময় পড়া—

بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

এ দোয়াগুলো দুনিয়ার অন্যসব মসজিদেও পড়া সুন্নত।

>> মসজিদে হারামে প্রবেশের পর উত্তম কাজ হল প্রথমেই তাওয়াফ করা। আর তাওয়াফের নিয়ত না থাকলে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। তবে, জামাআত দাঁড়িয়ে গেলে সরাসরি জামাতে শরীক হয়ে যাবেন।

>> মসজিদুল হারামে প্রবেশের সময় মসজিদে প্রবেশের সুন্নত ও শিষ্টাচারের প্রতিও লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। যেমন জুতা-স্যান্ডেল খুলে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা, বিসমিল্লাহ পড়া, দরুদ পাঠ করা এবং নির্ধারিত দোয়া পড়া।