বাবা-মা একজন সন্তানের সবচেয়ে কাছের মানুষ। তা সম্পূর্ণ আলাদা সত্ত্বা হলেও দুইজন একই সূত্রে গাঁথা। প্রতিটি সন্তানের জীবনে বাবা-মায়ের ভূমিকা অসামান্য। কারও অবদান কারও চেয়ে কম নয়।

মা-বাবার জন্য সন্তান যাই করুক না কেন সন্তানের পক্ষ থেকে কখনো তাদের অনুগ্রহের প্রতিদান দেওয়া সম্ভব নয়। সন্তান বাবা-বাবার হক আদায়ের চেষ্টা করতে পারে, আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করতে পারে। মা-বাবার জন্য দোয়া সন্তানের অন্যতম একটি দায়িত্ব। 

এখানে সূরা আহকাফে বর্ণিত মা-বাবার জন্য একটি দোয়া তুলে ধরা হলো—

رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰهُ وَ اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ وَ اِنِّیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ

উচ্চারণ : রাব্বি আওঝি’নি আন আশকুরা নি’মাতাকাল-ল্লাতি আনআ’মতা আলাইয়্যা ওয়া আলা ওয়ালিদাইয়্যা, ওয়া-আন, আ’মালা ছালিহাং, তারদ্বা, ওয়া-আছ-লিহলি ফি যুরয়্যিাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা ওয়া-ইন্নি মিনাল মুসলিমীন।

অর্থ : হে আমার রাব্ব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার মাতা-পিতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন; আমার জন্য আমার সন্তান সন্ততিদেরকে সৎকর্মপরায়ণ করুন, আমি আপনার কাছে তাওবা করলাম এবং আত্মসমর্পণ করলাম। (সূরা আহকাফ, আয়াত : ১৫)