পবিত্র কোরআনের সূরা কাসাসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও অনুগ্রহ লাভের দোয়া বর্ণিত হয়েছে। দোয়াগুলো হলো—

ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

 رَبِّ اِنِّیۡ ظَلَمۡتُ نَفۡسِیۡ فَاغۡفِرۡ لِیۡ

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি যালামতু নাফসি ফাগফিরলি

অর্থ : হে আমার রাব্ব! আমিতো আমার নিজের প্রতি যুলম করেছি; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন! (সূরা কাসাস, আয়াত : ১৬)

ক্ষমা প্রার্থনার আরেকটি দোয়া

رَبِّ بِمَاۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ فَلَنۡ اَکُوۡنَ ظَهِیۡرًا لِّلۡمُجۡرِمِیۡنَ


 
উচ্চারণ : রাব্বি বিমা আনআমতা আলাইয়্যা ফা-লান আকুনা যাহিরান ফিল মুজরিমিন।

অর্থ : হে আমার রাব্ব! আপনি যেহেতু আমার উপর অনুগ্রহ করেছেন, আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না। (সূরা কাসাস, আয়াত : ১৭)

অনুগ্রহ কামনার দোয়া

رَبِّ اِنِّیۡ لِمَاۤ اَنۡزَلۡتَ اِلَیَّ مِنۡ خَیۡرٍ فَقِیۡرٌ

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি বিমা আংঝালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির

অর্থ : হে আমার রাব্ব! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন আমি তার কাঙ্গাল। (সূরা কাসাস, আয়াত : ২৪)

উল্লেখ্য, বান্দা দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন এবং তিনি বান্দার দোয়ার অপেক্ষায় থাকেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।’ (সূরা গাফির, আয়াত, ৬০)

এজন্য নিজের যেকোনো প্রয়োজন, চাওয়া-পাওয়া, প্রত্যাশার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা এবং প্রার্থনা অভ্যাস করে নিতে পারা মুমিনের জীবনের অন্যতম সৌভাগ্য। দোয়া যেমন একটি স্বতন্ত্র্য ইবাদত একইভাবে তা মানুষের তাকদির বা ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম।

এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘দোয়া ছাড়া কোনো কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ব্যতীত হায়াত বৃদ্ধি পায় না।’  (সুনানে ইবনে মাজা', হাদিস, ৯০)