স্বামী ছাড়া অন্য মাহরামের সঙ্গে হজে যাওয়া যাবে?
হজ ইসলামের ফরজ বিধান। কোনো ব্যক্তির কাছে মক্কায় গিয়ে হজ করে নিজ দেশে ফিরে আসা পরিমাণ টাকা থাকলে তার ওপর হজ ফরজ। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে সঙ্গে মাহরাম থাকা জরুরি।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামী বা মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ আদায় হবে না। তাদের হজের সফরের জন্য মাহরাম থাকা জরুরি। তবে কোনো নারীর ওপর হজ ফরজের পর তার স্বামী যদি তাকে হজে যেতে অনুমতি না দেয় ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে, তাহলে এমন নারীর হজের বিধান কী হবে? অথবা তিনি তার অন্য মাহরাম, যেমন, ভাই বা বাবার সঙ্গে হজে যেতে পারবেন কি না? এ বিষয়ে জানতে চান অনেকে।
বিজ্ঞাপন
যেমন একজন জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছেন—
`আমার কাছে এ পরিমাণ টাকা আছে যে, আমার উপর হজ ফরজ। আমার স্বামীর দ্বীনের বুঝ নেই। তার উপর হজ ফরজ হওয়া সত্ত্বেও তিনি হজ করছেন না। আমি অনুমতি চাচ্ছি আমাকেও অনুমতি দিচ্ছেন না। আমার জানার বিষয় হল, আগামী বছর আমার ভাই হজে যাবেন। স্বামীর অনুমতি ছাড়াই আমি ভাইয়ের সাথে হজে যেতে পারব কি না?’
আরও পড়ুন
এমন প্রশ্নের ক্ষেত্রে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের সমাধান হলো—
হজ আল্লাহ তায়ালার মহান হুকুম। শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। হজ ফরজ হলে বিলম্ব করা গুনাহ। তাই আপনাদের উভয়েরই (স্বামী-স্ত্রী) অনতিবিলম্বে হজে যাওয়া আবশ্যক।
কোনো কারণে স্বামীর যেতে যদি বিলম্ব হয় আর আপনার মাহরামের ব্যবস্থাও হয়ে যায় তবে স্বামীর জন্য আপনাকে বাধা দেওয়া ঠিক হবে না। তাই স্বামীকে এ বিষয় বোঝাতে চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে তাকে রাজি করে তার সাথেই হজে যান।
যদি তিনি না যান তবে আপনি ভাইয়ের সঙ্গে ফরজ হজ আদায়ের জন্য যেতে পারবেন। কারণ, ফরজ হজ আদায়ের ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি বাধ্যতামূলক নয়।
তবে নফল হজ কিংবা ওমরা আদায়ের জন্য সফর করতে চাইলে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। তার অনুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে না।
(বাদায়েউস সানায়ে ২/৩০০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৭৫; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৬৫; গুনইয়াতুন নাসিক ২৮, আল-কাউসার অনলাইন)