চলাচলের জন্য মানুষকে রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। পাড়া-মহল্লার ছোটখাটো গলিপথ, মহাসড়ক— প্রয়োজন অনুপাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। 

সড়কে চলাচলের অধিকার সবার আছে, কিন্তু এ সড়ক কারোর একার নয়, বরং সবার। একজন মুমিন সড়কে তার নিজের অধিকারের ব্যাপারে যেমন সচেতন থাকবে, তেমনি অন্যের অধিকারের ব্যাপারেও সচেতন থাকবে। সড়ককে এমনভাবে ব্যবহার করতে পারবে না, যেন তার এ ব্যবহার অন্যের ভোগান্তির কারণ হয়। এমন কিছু সড়কে ফেলে রাখতে পারবে না, যা অন্যের কষ্টের কারণ হয়।

রাস্তায় চলতে গিয়ে অনেক সময় কষ্টদায়ক বস্তু নজরে পড়ে, কিন্তু অনেকেই মনে করি এটা তো দায়িত্বশীলদের কাজ, তারা করবে। আসলে এটা প্রত্যেক মুসলমানেরই দায়িত্ব। ঈমানেরও দাবি এটি।

 আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, ‘ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা রয়েছে, এসবের মধ্যে সর্বোত্তম শাখা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা, আর সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়া।’ (মুসলিম : ৩৫)।

আল্লাহর রাসূল সা. একবার আবু জর গিফারিকে রা. উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মানুষের চলাচলের পথ থেকে পাথর, কাঁটা, হাড্ডি সরানো ইত্যাদিতেও রয়েছে সদকার সওয়াব।’ (তিরমিজি : ১৯৫৬)।

রাস্তা থেকে প্রতিবন্ধক দূর করার পুরস্কার সম্পর্কে সহিহ মুসলিমে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে জান্নাতের গালিচায় গড়াগড়ি খেতে দেখলাম (অর্থাৎ শান্তি ও আরামের সঙ্গে সুখময় জীবন কাটাচ্ছে সে)। এর কারণ হচ্ছে- মানুষের চলাচলের পথে একটি গাছ ছিল, যার কারণে সাধারণের চলাচলে কষ্ট হচ্ছিল। এই ব্যক্তি তা কেটে চলাচলের পথ প্রতিবন্ধকতামুক্ত করেছিল। ফলে আল্লাহ খুশি হয়ে তাকে জান্নাতে দাখেল করেন। (মুসলিম : ১৯১৪)।