পারিশ্রমিক দিয়ে ইতিকাফ করানো যাবে?
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। মহল্লার কিছু মানুষ ইতিকাফ করলে সকলেই দায়মুক্ত হয়ে যাবে আর কেউ না করলে সকলেই এর দায়ভার বহন করবে।
যিনি ইতিকাফ করবেন তিনি মুসলমান ও সুস্থ মস্তিষ্ক হওয়া জরুরি। একইসঙ্গে ইতিকাফকারী বুঝমান হতে হবে। তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ যেকোনো বয়সের সুস্থ মুসলামান ইতিকাফ করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
রমজানের শেষ দশকে সাধারণত স্বস্তঃস্ফূর্তভাবেই ইতিকাফ করে থাকেন মুসলমানেরা। ইতিকাফের জন্য কোনো তাগাদা দিতে হয় না। তবে কোনো কোনো এলাকায় দেখা যায়, ধর্মীয় বিষয়ে মানুষজনের ভেতর উদাসীনতা থাকে। রমজানের শেষ দশ দিনে এলাকাবাসী কেউ ইতিকাফে বসতে চান না। এজন্য অন্য এলাকা থেকে বা নিজ এলাকা থেকে কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে খাবার ও পারিশ্রমিক দিয়ে ইতিকাফ করানো হয়।
আরও পড়ুন
ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতে, এ কাজটি ঠিক নয়। পারিশ্রমিকের মাধ্যমে ইতিকাফ করালে ইতিকাফ সহিহ হয় না।
ইতিকাফ একটি ইবাদত, যা বিনিময়যোগ্য নয়। তাই ইতিকাফের জন্য বিনিময় নেওয়াও জায়েয নেই। ফলে কাউকে বিনিময় দিয়ে ইতিকাফ করালে ইতিকাফ সহিহ হবে না এবং এর দ্বারা এলাকাবাসী দায়মুক্ত হতে পারবে না।
আলেমরা বলেন, রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়াহ। যদি কোনো মসজিদে একজনও ইতিকাফে বসে তাহলে এলাকাবাসী সুন্নত তরকের গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে। আর যদি একজনও ইতিকাফ না করে তাহলে ওই এলাকার সকলেই সুন্নত তরককারী বলে গণ্য হবে।
আফসোসের বিষয় যে, এক এলাকায় বৃদ্ধ বা যুবক কাউকেই ইতিকাফ করার জন্য পাওয়া যাবে না। এমনটি হওয়া উচিত নয়। সকলেরই ব্যস্ততা রয়েছে, তাই বলে ইতিকাফের মত ফযীলতপূর্ণ আমলের জন্য পুরো এলাকায় কাউকে পাওয়া যাবে না- এটা হতে পারে না। আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভেবে রাখা দরকার এবং এ আমলের জন্য মুসল্লিদের উৎসাহিত করা দরকার।
(হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ২/৩০৪; আল কাউসার অনলাইন, রদ্দুল মুহতার ২/৪৪২,৬/৫৫)