রমজান মাস পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। শবে কদর কোরআন নাজিলের রাত। এ রাতেই পবিত্র মক্কা মুকাররমার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ফেরেশতাদের সরদার হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সা.-এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল করেন । 

এ কারণে আল্লাহ তায়ালা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ রাতে মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদিকে হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলের সমান সাওয়াব দান করে। কোরআনুল কারিমের অন্য স্থানে এ রাতটিকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

শবে কদরের ফজিলত

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন- হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি একে (কোরআন) এক বরকতময় রাতে নাজিল করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সূরা দুখান, আয়াত : ১-৬)

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জান ক্বদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সূরা কদর, আয়াত : ১-৩)।  

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতটি পাওয়ার জন্য শেষ দশকে আজীবন ইতেকাফ করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাজিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তাঁর সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়।’ (মুসলিম শরীফ)

শবে কদর খুঁজবেন যেসব রাতে

রমজানের শেষ দশদিনের যেকোনো বেজোড় রাতে লাইলাতুলকদর তালাশ করা যায়, অর্থাৎ ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ রমজান দিবাগত রাতগুলো। তবে অনেক আলেমদের গবেষণা ও ব্যাখ্যায় এবং বুজুর্গানেদ্বীনের মতে ২৬ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ তারিখে পবিত্র শবে কদরের অন্যতম সম্ভাব্য রাত। 

রমজানের শেষ দশকের পাঁচটি রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করতে হয়। এ বছর (২০২৪) শবে কদর অনুসন্ধানের রাতগুলো হলো— ২১ রমজান (১ এপ্রিল) সোমবার রাত। ২৩ রমজান (৩ এপ্রিল) বুধবার রাত। ২৫ রমজান (৫ এপ্রিল) শুক্রবার রাত। ২৭ রমজান (৭ এপ্রিল রোববার রাত)। ২৯ রমজান (৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার রাত।