প্রতীকী ছবি

মসজিদ আল্লাহ তায়ালার ঘর। ইসলামে মসজিদ নির্মাণ, মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা মসজিদ নির্মাণকারীদের ভীষণ পছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের আবাদ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি, সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা তাওবা, আয়াত : ১৮)

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৫০)

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নামাজ মসজিদেই আদায় করা হয়। রমজানের শেষ দশকের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ইতিকাফও মসজিদেই পালন করার নিয়ম। পুরুষদের মসজিদে ইতিকাফ করা আবশ্যক।

ইতিকাফের বিধান হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। অর্থাৎ, এলাকাবাসীর কোনো একজন আদায় করে নিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আর কেউ আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে।

এক সময় কয়েক এলাকা মিলে একটি মসজিদ থাকলেও বর্তমানে একই এলাকায় একাধিক মসজিদ দেখা যায়। মসজিদে যেহেতু ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া, তাই একই এলাকায় একাধিক মসজিদ থাকলে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, কোন মসজিদে ইতিকাফ করলে দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে অথবা সব মসজিদেই আলাদা আলাদা ইতিকাফ করতে হবে নাকি কোনো একটি মসজিদে ইতিকাফ করলেই হয়ে যাবে!

যেমন— এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একজন প্রশ্ন করেছেন—

`এখন সব মহল্লায় একাধিক মসজিদ আছে। যেগুলো অনেক কাছাকাছি। আমার প্রশ্ন হলো, একই মহল্লায় যদি একাধিক মসজিদ থাকে, তাহলে প্রতিটি মসজিদেই কি রমজানে ইতিকাফ করতে হবে? নাকি এক মহল্লা বা গ্রামের একটি মসজিদে ইতিকাফ করলে বাকি মসজিদের মুসল্লিদের পক্ষ থেকেও আদায় হয়ে যাবে'।

এ বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো— মহল্লার যেকোনো এক মসজিদে ইতিকাফ করলেই ইতিকাফ আদায় হয়ে যাবে এবং  সবাই গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে। তবে প্রতিটি মসজিদে আলাদা আলাদা ইতিকাফ করা উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৩/১৫৯, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৫/৪৮৭)