রমজানের শেষ দশকের গুরুত্বপূর্ণ আমল ইতিকাফ। ইতিকাফ একটি আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ হল, অবস্থান করা, সাধনা করা আবদ্ধ করা। শরীয়তের পরিভাষায়, আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদে অথবা ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে অবস্থান করাকে এতেকাফ বলে। (ফাতওয়া শামী, পৃষ্ঠা, ৪২৮)

রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। সুতরাং মহল্লার কিছু মানুষ ইতিকাফ করলে সকলেই দায়মুক্ত হয়ে যাবে আর কেউ না করলে সকলেই এর দায়ভার বহন করবে। এই ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)

যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতে চায় তিনি ২০ রমজান বিকালে সূর্যাস্তের আগে ২১ রমজানের রাত শুরু হওয়ার আগে মসজিদে প্রবেশ করবেন। এমনটিই অভিমত দিয়েছেন ইমাম আবু হানিফা, ইমা মালেক, ইমা শাফেয়ি ও ইমাম আহমাদ রহ.।

তারা বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি রমজানের শেষ দশরাত্রি ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম)

তারা বলেন, ইতিকাফকারী যে উদ্দেশ্য নিয়ে ইতিকাফ করেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- লাইলাতুল কদর প্রাপ্তি। রমজানের ২১তম রাত্রি শেষদশকের একটি বেজোড় রাত্রি; তাই এ রাতটি লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য এ রাতে ইতিকাফ করা বাঞ্ছনীয়। আর এই রাত পেতে হলে রমজানের ২১ রমজানের রাত শুরু হওয়ার আগেই মসজিদে প্রবেশ করা জরুরি। (আল-মুগনি ৪/৪৮৯)

সূত্র : ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব