তারাবিতে কোরআন দেখে পড়া যাবে?
খতম হোক বা সূরা তারাবি- মসজিদগুলোতে কোরআন না দেখে মুখস্ত পড়া হয়। হানাফি মাজহাবের অনুসরণে বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে তারাবি নামাজে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
হানাফি মাজহাবের অভিমত হচ্ছে, নফল ফরজ যেকোনো নামাজেই কোরআন দেখে তিলাওয়াত করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবিদের কেউ জীবনে কখনও দেখে কোরআন তিলাওয়াত করেননি, বা দেখে পড়ার কথা বলেননি।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও নামাজে কোরআন শরিফ দেখে পড়তে হলে কোরআনের কপি বহন করতে হবে বা সামনে কোথাও রাখতে হবে৷ তিলাওয়াতের জন্য কোরআনের পৃষ্ঠা উল্টাতে হবে ৷ নামাজের সময় নির্দিষ্ট করে যেখানে চোখ রাখার নিয়ম তার বাইরে কোরআনের কপিটির দিকেই দৃষ্টি রাখতে হবে ৷ যা ফেকাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় আমলে কাসিরের অন্তর্ভূক্ত ৷ আর আমলে কাসিরের কারণে নামাজ ভেঙ্গে যায়৷
আরও পড়ুন
অপর দিকে শাফেয়ী মাজহাবে নফল নামাজে কোরআন দেখে পড়ার অবকাশ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় আলেম ও ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, তারাবির নামাজে কোরআন দেখার পরার বিষয়টি মতপার্থক্য পূর্ণ।
কোনো কোনো মাজহাবে বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে এবং সৌদি আরবের কিছু কিছু মসজিদেও এভাবে নামাজ পড়ার প্রচলন রয়েছে।
তবে আরবের ওলামায়ে কেরাম এটাকে জায়েয মনে করলেও আরবের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের কখনো এভাবে তারাবিতে কোরআন দেখে দেখে তিলাওয়াত করতে দেখা যায়নি। তারা নফল নামাজের ক্ষেত্রে কোরআন দেখা পড়া বৈধ বললেও এভাবে তিলাওয়াতকে অপছন্দ করেন এবং নিরুৎসাহিত করেন। সচরাচর এ বিষয়টি দেখা যায় না।
এজন্য যেই অঞ্চলে যেভাবে নফল বা তারাবি নামাজ পড়ার প্রচলন রয়েছে সেখানে সেভাবে পড়াই কাম্য।