প্রতীকী ছবি

দিন-রাত, সপ্তাহ, বছর। সবকিছুর একটা শেষ থাকে। প্রতিটি কর্তব্যসচেতন ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময় শেষে ফলাফলের হিসাব করেন। অর্জন-বিয়োজন বিবেচনা করেন। তাই বছরের আগমন ও প্রস্থানে প্রতিটি বিবেকবান ব্যক্তির কর্তব্য হলো আত্মসমালোচনা করা। অনুতাপ ও অনুশোচনার মাধ্যমে অতীতের কাজকর্ম পর্যালোচনা করা।

পাশাপাশি বিগত বছর যতটুকু সময় আল্লাহর বিধান ও সন্তুষ্টি মতো চলার তাওফিক হয়েছে, সেটার কৃতজ্ঞতা আদায় করা। গুনাহ, গাফিলতি ও আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে যে সময়টুকু  কেটেছে, সেটার জন্য অনুতপ্ত হওয়া। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নতুন বছর সৎ-নিষ্ঠা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক কাটানোর প্রত্যয় করা।

যদিও এটি মুমিনের প্রাত্যহিক ও আবশ্যিক কর্তব্য। তবু ভালো-মন্দের হিসাব, ভবিষ্যতের জন্য নতুনভাবে সংকল্পবদ্ধ হওয়া পরিশুদ্ধ জীবন বিনির্মাণের অপরিহার্য শর্ত। প্রতিটি রাত-দিন, সপ্তাহ, মাস এবং বছরের আগমন ও প্রস্থান আমাদের সে শিক্ষা দেয়।

আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি দিন ও রাতকে পরস্পরের অনুগামী করে সৃষ্টি করেছেন। এসব বিষয় শুধু তার উপকারে আসে, যে উপদেশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চায়।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৬২)

বছরের বিদায় ও স্বাগত জানানোর সন্ধিক্ষণ। ভিন্নরকম এই সময়ে প্রতিটি ব্যক্তির অনুভূতি হওয়া উচিত, ‘যে দিনগুলো আমার শেষ হয়ে গেল, তা আমার জীবনেরই একটি মূল্যবান অংশ। একটি বছর শেষ হওয়ার সরল ও সহজ অর্থ হলো, আমার জীবনমাল্য থেকে ৩৬৫ দিনের ৩৬৫টি পুষ্প ঝরে পড়েছে। আমার জীবন আরো সংকুচিত হয়ে এসেছে। মৃত্যু আমার আরও কাছে চলে এসেছে। তাই আনন্দোল্লাসে ফেটে পড়ার মতো কিছু নেই। বরং হিসাব-নিকাশ করে জীবনের হালখাতা করা উচিত।’