ভোজন রসিকদের অন্যতম পছন্দের খাবার গরু-মুরগির গোশত। বর্তমানে গরু-মুরগি এবং এসবের গোশত  বিক্রি হয় বাজারে। গরু ও মুরগির গোশত খাওয়া ইসলামে বৈধ। ইসলামি বিধান অনুযায়ী গৃহপালিত, অহিংস্র ও সর্বাঙ্গ পবিত্র এমন প্রাণী খাওয়া হালাল। 

যেমন—গৃহপালিত গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, উট, দুম্বা, হাস, মুরগি। একইভাবে বন্য পশুর মধ্যে বন্য গরু, হরিণ, খরগোশ, বন্য গাধা। আর যেগুলোর সর্বাঙ্গ নাপাক, তা খাওয়া হারাম। যেমন—শূকর। 

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের ওপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, প্রবাহিত রক্ত, শূকরের গোশত।’ (সূরা বাকারা, আয়াত,১৭৩)

গৃহপালিত গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, উট, দুম্বার দুধ এবং হাস, মুরগির ডিম খাওয়া বৈধ। তবে এসব প্রাণী কোনো দুর্ঘটনায় বা অন্য কোনো কারণে মারা গেলে এর গোশত খাওয়া মুসলমানদের জন্য হালাল নয়।

 

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে, মৃত প্রাণীর গোশত, প্রবহমান রক্ত, শূকরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাইকৃত প্রাণীর গোশত, শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, আঘাতে মৃত জন্তু, পড়ে গিয়ে মৃত জন্তু, অন্য পশুর শিংয়ের আঘাতে মৃত জন্তু, হিংস্র পশুর খাওয়া জন্তু; তবে এ রকম প্রাণীকে যদি তোমরা মরার আগে জবাই করে থাক তাহলে হালাল হবে। আর হারাম করা হয়েছে ওই পশু, যা পূজার বস্তুর কাছে জবাহ করা হয়।’ (সূরা মায়েদা, আয়াত, ৩)

পেটে ডিম থাকা অবস্থায় মুরগি বা হাস মারা গেলে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতে, মুরগির পেট থেকে সেই ডিম বের করে খাওয়া যাবে। তবে এমন ডিম না খাওয়া উত্তম।

মুরগির পেটে দুই ধরনের ডিম থাকে। কোনো ডিম পরিপূর্ণ, খোসাসহ আবার কোনোটি খোসা ছাড়া। ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতে, মৃত মুরগির থেকে বের করা ডিম খোসাযুক্ত হোক বা খোসাবিহীন শরীয়তের দৃষ্টিতে তা খাওয়া জায়েয হলেও তা না খাওয়া উত্তম। বিশেষ করে খোসাবিহীন ডিম না খাওয়া উচিত ৷

(ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, খণ্ড, ১১/ ৩৯৩, বাদায়ে সানায়ে, ৫/৪৩)