মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে ২৫ হাজার নতুন কার্পেট বিছানো হয়েছে। মসজিদে নববী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মসজিদে নববীতে আগত জিয়ারতকারী ও ইবাদতকারীদের ইবাদত পালনে প্রশান্তি ও সহজতার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে ২৫ হাজারের বেশি নতুন কাপের্ট বিছানো হয়েছে।

সৌদি সরকারি সংবাদ মাধ্যম এসপিআই জানিয়েছে, মসজিদে নববীর প্রাঙ্গণ এবং ছাদের অংশে কার্পেট বিছানো হয়েছে। এগুলোকে প্রতিদিন স্যানিটাইজেশন এবং সুগন্ধিযুক্ত করা করা হয়। কার্পেট সুগন্ধিযুক্ত করার জন্য উন্নতমানের আতর ব্যবহার করা হয়, যেন মুসল্লিরা নামাজ ও ইবাদতপালনের ক্ষেত্রে প্রশান্তি অনুভব করেন।

মসজিদে নববীর প্রশাসন জানিয়েছে, মসজিদে নববীর কার্পেটগুলো পুরু, টেকসই ও উন্নতমানের। ঘনঘন ধোয়ার কারণে তা নষ্ট হয় না।

প্রসঙ্গত, মক্কার মসজিদে হারামের পরই মদিনার মসজিদে নববীর গুরুত্ব ও মর্যাদা।  মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এতে নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং এখানে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্য মসজিদে ছয় মাস নামাজ পড়ার সমতুল্য।

ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম।’-(বুখারী : ১১৯০; মুসলিম : ১৩৯৪)

মসজিদে নববীর ফজিলত সম্পর্কে অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথায়ও (সওয়াব আশায়) সফর করা জায়েজ নেই: মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ ও মসজিদুল আকসা।’-(বুখারী : ১১৮৯, মুসলিম : ১৩৯৭)

নবীজির রওজা জিয়ারতের বিশেষ ফজিলতও রয়েছে। এক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে আমার ওফাতের পর আমার (রওজা) জিয়ারত করল, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।’ (দারাকুতনি : ২৬৯৪)

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন যে আমার রওজা জিয়ারত করলো তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে গেলো। (মুসলিম) 

এনটি