মহামারিতে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা
প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের থাবায় বিশ্বজুড়ে বিধ্বস্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। ভয়াবহভাবে বেড়ে চলছে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ কোটি ১২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ ২৩ হাজার।
সবার কম-বেশি জানা যে, অধিকাংশ মহামারি-ই সংক্রামক। তাই বহু হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) মহামারির সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। আক্রান্ত অঞ্চলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মহামারি ও সংক্রমণের সময় মুমিন যথাযথ স্বাস্থবিধি অবলম্বন করবে; পাশাপাশি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে ধৈর্য ধারণ করবে— এটাই নিয়ম। তাই মহামারির ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোথাও মহামারি দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে— সে জায়গা ছেড়ে চলে এসো না। আবার কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করে থাকলে, সে জায়গায় গমন করো না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১০৬৫)
মহামারিতে মারা গেলে ব্যক্তি শহীদ
মহানবী (সা.) মহামারিতে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে শহীদ বলেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘পাঁচ প্রকার মৃত শহীদ— মহামারিতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করেছে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৮২৯)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,
মহামারি থেকে বাঁচার দোয়া
সংক্রমণ ও মহামারিতে সুরক্ষার জন্য রাসুল (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে ‘বিসমিল্লা-হিল্লাজি লা ইয়াদ্বুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা-ই, ওয়াহুয়াস সামি উল আলিম’। সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি আকস্মিক কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আচমকা কোনো বিপদ আসবে না। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮৮)
দোয়ার অর্থ : ‘আল্লাহর নামে যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’
আরেকটি দোয়ায় রয়েছে—
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনু-নি, ওয়াল জুজামি, ওয়া মিন সাইয়িইল আসকাম।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কুষ্ঠরোগ, মস্তিষ্কের বিকৃতি ও সব ধরনের দুরারোগ্য থেকে মুক্তি চাচ্ছি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৪৯৩)