প্রতীকী ছবি

মক্কা থেকে মদিনায় প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরত ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে মূলত মদিনায় হিজরতের পর থেকে। এর আগে মক্কায় একান্ত কাছের মানুষজন এবং মক্কার পরিচিতদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ সময়টাতে মক্কার কাফেরদের অকথ্য নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। 

মক্কায় বায়তুল্লাহ থাকার কারণে তা ইসলামপূর্ব যুগেও মর্যাদার ভূমি বলে পরিচিত ছিল। অনেকেই মক্কায় গিয়ে কাবাঘরে তাদের নিয়মে ইবাদত করতেন। ইসলাম আগমনের পর অনেকেই মক্কায় এসে আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে জানতে পারেন। মদিনাবাসীর কাছেও ইসলামের বার্তা পৌঁছায়। 

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের ওপর মক্কার কাফেরদের নির্যাতন বেড়ে গেলে মদিনাবাসী সাহাবিরা নবীজিকে তাদের ভূমিতে হিজরতের আহ্বান জানালেন। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে মদিনায় হিজরত করলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

মহানবী সা. মদিনায় হিজরতের পর প্রথমে যে কাজ করেছিলেন

মদিনায় পৌঁছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। নবীজিকে বহনকারী উট বসার স্থানকে তিনি মসজিদের জন্য নির্বাচন করেন। জমিটি ছিল বনি নাজ্জারের দু’জন এতিম বালকের। তিনি তাদের কাছে সেই জায়গাটি মসজিদের জন্য নেওয়ার আবেদন করেন।

আল্লাহর রাসূলের প্রস্তাবের পর তারা স্বেচ্ছায় জায়গাটি মসজিদের জন্য দান করতে চাইলেন। কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের থেকে জমি ক্রয় করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের সাথেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের জন্য হুজরা নির্মাণ করা হয়। এরপর সাহাবায়ে কেরাম মসজিদে নামাজ, শিক্ষা, জিহাদ, সামাজিক কার্যক্রমসহ অন্যান্য ইবাদত পালন করতে থাকেন।

মদিনায় হিজরতের পর নবীজি সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মানের কাজ করেন। এরপর আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নকল্পে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে মনোনিবেশ করেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ইসলামী সমাজ গঠন ও নিশ্চিন্ত হৃদয়ে মহান আল্লাহর ইবাদত করতে প্রাথমিকভাবে যেসব অনুষঙ্গ প্রয়োজন, সব প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বদা আল্লাহ ও দ্বীনের জন্য কর্মব্যস্ত সময় ব্যয় করতেন। পরিবার, সঙ্গী-সাথী ও মদিনাবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। 

এনটি