শীতে মুখ ঢেকে নামাজ পড়া যাবে?
শীতকালকে মুমিনের বসন্তকাল বলা হয়েছে হাদিসে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ১১৬৫৬)
শীতকালে দিন ছোট, রাত বড়। এই সুযোগে মুমিনের জন্য দিন ও রাতে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি নফল ইবাদত করা সহজ। এর একটি হচ্ছে দিনের বেলার রোজা, অপরটি হলো- রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়।
বিজ্ঞাপন
শীতের দিনের রোজা সম্পর্কে এক হাদিসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘শীতকালের রোজা হচ্ছে বিনা পরিশ্রমে যুদ্ধলব্ধ মালের অনুরূপ।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৭৯৭)
এই সময় গরিব-দুঃখীকে বস্ত্র দান করার বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়। এর বিশেষ ফজিলতও রয়েছে। আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো মুমিন যদি অন্য কোনো মুমিনের ক্ষুধায় অন্ন জোগায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল আহার করাবেন। কোনো মুমিন যদি অন্য কোনো মুমিনের পিপাসায় পানি পান করায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সিল করা জান্নাতি পানীয় পান করাবেন। কোনো মুমিন যদি অন্য কোনো বস্ত্রহীন মুমিনকে পরিধান করায়, তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবুজ বস্ত্র পরিধান করাবেন। (তিরমিজি, হাদিস, ২৪৪৯)
শীতকালে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে গরম পোশাক পরে থাকেন সবাই। মাফলার, রুমালে কান-চেহারা, গলা ঢেকে রাখেন অনেকে। ঠাণ্ডা থেকে আত্মরক্ষায় এই পদ্ধতি অবলম্বন স্বাভাবিক। তবে নামাজে এভাবে মুখ ঢেকে রাখা মাকরুহ। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বাভাবিক অবস্থায় এভাবে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজরত অবস্থায় মুখমণ্ডল ঢাকতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ৯৬৬)
তবে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার তীব্র আশঙ্কা তাকলে এভাবে নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যাবে।